অনলাইন ডেস্ক :
গ্যাস সরবরাহের ঘাটতির কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গত কয়েকদিন ধরে লোডশেডিং চলছে। বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) তথ্য অনুযায়ী, দেশের ৫২ শতাংশ বিদ্যুৎকেন্দ্র গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল। অন্যদিকে জ্বালানি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, দেশে মোট গ্যাসের ব্যবহারের ৭০ ভাগই বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজে ব্যবহৃত হয়। রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান পেট্রোবাংলা জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস দাম বাড়ায় সরকার সেখান থেকে আমদানি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে কয়েকদিন ধরে জাতীয় গ্যাস-সাপ্লাই গ্রিডে এলএনজির সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে। এতে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমেছে, দিনে একাধিকবার বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। ২০১২ সালের আগে ‘লোডশেডিং’ শব্দটি খুব পরিচিত ছিল দেশে। এরপর লোডশেডিং কমলেও রাজধানীতেই সেটি আবার ফিরে এসেছে। সোমবার (৪ জুলাই) ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ডিপিডিসি) এক বিজ্ঞপ্তিতে লোডশেডিংয়ের জন্য দুঃখ প্রকাশ করা হয়। ডিপিডিসির নির্বাহী পরিচালক বিকাশ দেওয়ান বলেন, ‘আমরা জরুরি সেবা প্রতিষ্ঠানসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখার চেষ্টা করছি।’ এর আগে, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ গত রোববার (৩ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলেছেন, গ্যাস সরবরাহে ঘাটতির কারণে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। পেট্রোবাংলার তথ্যানুযায়ী, গত ২৯ জুন গ্যাসের জাতীয় গ্রিডে অন্তত ৮৫৪ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি সরবরাহ করা হয়। গত সোমবার সরবরাহের পরিমাণ ৫০৭ মিলিয়ন ঘনফুটে নেমে আসে। পেট্রোবাংলা ও জ্বালানি বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, দেশে প্রায় ২৫০-৩০০ ঘনফুট এলএনজির চাহিদা আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেট থেকে কিনে পূরণ করা হলেও, সম্প্রতি মূল্যবৃদ্ধির পর দাম না কমা পর্যন্ত স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি না কেনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। চলতি বছরের শুরু থেকে সারাদেশে গড়ে ৩ হাজার ১০০ থেকে ৩ হাজার ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট প্রাকৃতিক গ্যাস বিতরণ করা হয়েছে।