সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত শিল্পী পাগল হাসান

সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত শিল্পী পাগল হাসান

সোহানুর রহমান সোহান | অনলাইন নিউজ ডেস্ক |

বাংলাদেশের সিলেট বিভাগের ছাতকে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী ও গীতিকার মোঃ মতিউর রহমান হাসান ওরফে পাগল হাসান(৩৫)। তিনি কালারুকা ইউনিয়নের শিমুলতলা মুক্তিরগাঁও গ্রামের মৃত দিলশাদ মিয়ার পুত্র। তার সাথে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় থাকা অন্য যাত্রী আব্দুস সাত্তার (৫৩)ও দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। তিনি শিমুলতলা মুক্তিরগাঁও গ্রামের আহাদ আলীর পুত্র। সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত একই গ্রামের লায়েছ মিয়া, রুপন মিয়া ও জাহাঙ্গীর আলমকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত দু’জনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে।

আজ বৃহস্পতিবার ( ১৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে ছাতক-দোয়ারাবাজার সড়কের সুরমা ব্রিজ সংলগ্ন টোল প্লাজা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, সকালে দোয়ারাবাজারের একটি এলাকায় গানের অনুষ্ঠান শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে ছাতক গোল চত্বর এলাকায় চা নাস্তা করে আবারো সিএনজি চালিত অটোরিকশায় করে দোয়ারাবাজারের দিকে যাচ্ছিলেন তারা। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বাসের (মৌলভীবাজার জ- ১১- ০০৪০) সাথে সিএনজি চালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে দুর্ঘটনা ঘটে। এ দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই নিহত হন মোঃ মতিউর রহমান হাসান ওরফে পাগল হাসান ও আব্দুস সাত্তার। ছাতক ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঘটনাস্থল থেকে নিহত ২ জনের লাশ উদ্ধার করেছে। পরে লাশ থানায় নেয়া হয়। পুলিশ দুর্ঘটনা কবলিত বাস ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শাহ আলম সড়ক দুর্ঘটনায় ২ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ দিকে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত খ্যাতনামা সঙ্গীতশিল্পী মতিউর রহমান হাসান ওরফে পাগল হাসানের মরদেহ শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য সুনামগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে রাখা হবে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে তার মরদেহ একাডেমি প্রাঙ্গণে নিয়ে আসা হবে বলে জানিয়েছেন একাডেমির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামছুল আবেদীন।

শেষ শ্রদ্ধা শেষে তার মরদেহ তার নিজ জন্মস্থান সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার শিমুলবাঁক নিয়ে যাওয়া হবে সেখানে তারা জানাজা নামাজ শেষে দাফন সম্পন্ন হবে। কন্ঠশিল্পী মতিউর রহমান হাসান ওরফে পাগল হাসান জীবন খাতা, আসমানে যাইয়ো না রে বন্ধু, আমি এক পাপিষ্ঠ বান্দা, রেলগাড়ীর ইঞ্জিনসহ অসংখ্য জনপ্রিয় গানের রচয়িতা ও সুরকার।

গুণি এই সংগীত শিল্পী মৃত্যুকালে মা, স্ত্রী, দুই পুত্র সন্তান সহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন। কন্ঠ শিল্পী ও গীতিকার পাগল হাসানের মৃত্যুতে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। প্রিয় এই শিল্পীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছেন, জনপ্রিয় তরুণ লেখক ও সাংবাদিক সোহানুর রহমান সোহান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *