ছিনতাইকারীদের কাছে জিম্মি ভৈরববাসী, উদাসীন পুলিশ প্রশাসন ও নিশ্চুপ ক্ষমতাসীন নেতারা!

ছিনতাইকারীদের কাছে জিম্মি ভৈরববাসী, উদাসীন পুলিশ প্রশাসন ও নিশ্চুপ ক্ষমতাসীন নেতারা!

অনলাইন ডেস্ক :

দিন দিন কিশোরগঞ্জের ভৈরব ছিনতাইয়ের স্বর্গরাজ্য হিসেবে ইতিমধ্যে সারাদেশে পরিচিতি লাভ করেছে। ভৈরবের আমজনতা আজ কিছু ছিনতাইকারীর কাছে জিম্মি। জানা যায়, ভৈরবের জনগণ ছিনতাইয়ের রোধে সরব হলেও, প্রশাসন ও স্থানীয় ক্ষমতাসীন নেতারা এই বিষয়ে নীরব ও উদাসীন। ফলে ভৈরবের জনমনে যেমন আতংক বিরাজ করছে তেমনি সংশয় দেখা দিচ্ছে ভৈরবের সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি। এই বিষয়ে জানতে এক প্রতিবেদক ভৈরব থানায় গেলে ওসিকে পাওয়া যায়নি বলে জানান। ওসি বিশেষ কাজে বাহিরে ছিলেন বলে জানা যায়।

ভৈরবের বর্তমান ছিনতাইকারীরা এতটায় ভয়ংকর হয়ে উঠেছে যে তারা দিনে-দুপুরে, সকাল-সন্ধ্যায় লুকোচক্ষুর সামনেই ছিনতাই করছে প্রতিনিয়ত। ভৈরবের চিহ্নিত কিছু স্থানে তারা যখন খুশি তখনই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটাচ্ছে। আধুনিক ধারালো চাইনিজ নাইফ ব্যবহার করে তারা ছিনতাইয়ের কাজ করছে বলে ভুক্তভোগীদের সূত্রে জানা গেছে। এতে পুলিশ প্রশাসন উদাসীন এবং স্থানীয় ক্ষমতাসীন নেতারাও নীরব ভূমিকা পালন করছে। তবে ইদানিং ভৈরবের জনতা এ বিষয়ে ফুসে উঠছে ধীরে ধীরে। এতে গত ২/৩দিন আগে এক ছিনতাইকারীকে আটক করে গণধোলাই দেয় স্থানীয় জনতা। এছাড়া ৪ ফেব্রুয়ারি রোজ রবিবার বেলা ১২ টার দিকে এক লাখ টাকা ছিনতাইকালে ভৈরব পৌর শহরের পঞ্চবটি এলাকার গোলাপ মিয়ার ছেলে ছিনতাইকারী আরিয়ান আহমেদ ইমনকে আটক করেন র‍্যাব-১৪ সিপিসি-২ ভৈরব ক্যাম্পের সদস্যরা।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, পুলিশের উদাসীনতা ও ক্ষমতাসীন নেতাদের নীরব ভূমিকায় ভৈরব ছিনতাইয়ের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। তাই ভৈরবে পথ চলতে অনেকেই তাদের আত্মীয়-স্বজনদের ছিনতাইকারীর বিষয়ে সাবধান করে দিচ্ছেন। কারণ ভৈরবের অধিকাংশ বাসিন্দাদের ভয় ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটলেই বেশিরভাগ সময়ে আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। অনেকক্ষেত্রে আহতরা মৃত্যুর কোলেও ঢলে পড়েন।

বিভিন্ন জনের মতে ভৈরব পৌরসভার ভিআইপি ওয়ার্ডখ্যাত ৮ নং ওয়ার্ডে সবচেয়ে বেশি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। ভৈরবের বর্তমান এমপির বাড়ির কয়েক’শ মিটার দূরে এবং ভৈরবের ক্ষমতাসীন কয়েকজন নেতার বাড়ির সামনে বিশেষ করে নদী বাংলা ও গার্লস স্কুলের সামনে, নাটাল মোড়ে, নাটাল মোড় সংলগ্ন বাজার রোডে ও ভৈরব রেলওয়ে স্টেশন রোড এলাকায় বেশি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এতে এসব রাস্তা দিয়ে চলাচলের ক্ষেত্রে ভয়ে পথচারীরা শংকিত থাকেন সব সময়।

বলা যায়, ভৈরবের ৮ নং ওয়ার্ড ও ভৈরব রেলওয়ে স্টেশন রোড ছিনতাইকারীদের দখলে চলে গিয়েছে। যার প্রমাণ মেলে প্রতিনিয়ত ছিনতাইয়ের ঘটনায়। তাই ভৈরববাসীর মনে প্রশ্ন জাগে এত এত ছিনতাইয়ের ঘটনার পরও পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয় নেতাদের টনক নড়ছে না কেন? কেন ছিনতাইয়ের প্রতিকারে তারা যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করছেন না? কারা এই ভয়ংকর ছিনতাইকারীদের সেল্টারদাতা ভৈরববাসী জানতে চায়?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *