কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের নিরাপত্তায় নতুন দিগন্ত সৃষ্টি করলেন আপেল মাহমুদ

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের নিরাপত্তায় নতুন দিগন্ত সৃষ্টি করলেন আপেল মাহমুদ

বার্তাকাল অনলাইন ডেস্ক :

দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র কক্সবাজার। পৃথিবীর বৃহত্তম এই সমুদ্র সৈকত সবার কাছে অতি প্রিয় ভ্রমণ স্থান হিসেবে বিবেচিত। কক্সবাজারে ভ্রমণে আসলে পর্যটকরা নানা ধরনের বিব্রতকর পরিস্থিতি পড়েন। জানা যায়, এডিশনাল ডিআইজি আপেল মাহমুদ কক্সবাজারে আসার পর থেকেই কক্সবাজারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বদলে যেতে শুরু করেছে। এতে প্রশংসায় ভাসছেন এডিশনাল ডিআইজি আপেল মাহমুদ।

কক্সবাজার বিচে বেড়াতে আসা পর্যটকরা চায় তাদের পছন্দের এই ভ্রমণ স্থানটি যেন সর্বদা পরিচ্ছন্ন, ঝঞ্ঝাট মুক্ত , নিরাপদ ও নিরাপত্তায় পরিপূর্ণ থাকুক। পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা আপেল মাহমুদ কক্সবাজার রিজিয়নে আসার পর থেকেই রাতারাতি এই পর্যটন স্থানটির নিরাপত্তা ব্যবস্থার আরও উন্নতি সাধন হয়েছে। তিনি নিজ দায়িত্বে সমুদ্র সৈকতের নিরাপত্তা আরও জোরদার করেছেন। বলা যায় কক্সবাজার পর্যটন কেন্দ্রে আগত দেশী-বিদেশি পর্যটকদের নিরাপত্তায় এক আআর্শীবাদ হয়ে এসেছেন তিনি।

সংবাদ সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজার রিজিয়নে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই আপেল মাহমুদ কক্সবাজারে আগত দেশী-বিদেশি পর্যটকদের নিরাপত্তা ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন এবং সেসব পদক্ষেপ বাস্তবায়নে স্বশরীরে উপস্থিত থেকে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন দিন থেকে রাত অবধি।

ইতিমধ্যে তার নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের বাস্তবায়নের ফলে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এখন পর্যটকবান্ধব পর্যটনে পরিণত হয়েছে। সমুদ্র সৈকতে ম্যাসাজ বয়, হিজড়া, ফটোগ্রাফার ও বখাটেদের হয়রানি এখন প্রায় শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত বর্তমানে ম্যাসাজ বয়, হিজরা, ফটোগ্রাফার ও বখাটে মুক্ত বলে সংবাদ সূত্রে জানা গেছে।

কক্সবাজার সরজমিনে পরিদর্শনে বার্তাকালের একজন গেস্ট সংবাদদাতা জানান, এডিশনাল ডিআইজি আপেল মাহমুদ কক্সবাজারে আসার পর থেকেই কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এলাকার নিরাপত্তার ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে এবং উন্নতি সাধিত হয়েছে। ইতিমধ্যে পর্যটকরা, হোটেল মোটেল রিসোর্ট মালিকরা, স্থানীয় বাসিন্দারা’সহ বিভিন্ন স্তরের মানুষদের কাছে প্রশংসা কুড়িয়েছেন আপেল মাহমুদ।

বিভিন্ন পর্যটকদের মতে, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে টুরিস্টদের জন্য এমন নিছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশের পর্যটন খাত বিশ্বের সাথে পাল্লা দিয়ে বহুদূর এগিয়ে যাবে।

পর্যটকদের কথার সত্যতা মেলে বার্তাকালের গেস্ট সংবাদদাতার সংবাদ সূত্রে।

সংবাদ সূত্রে আরও জানা যায়, সমুদ্র পাড়ে ২৪ ঘন্টায় পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মধ্যরাতে ঘড়ির কাটায় রাত সাড়ে বারোটায় সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে চষে বেড়াতে দেখায় যায় এডিশনাল ডিআইজি আপেল মাহমুদকে। কোন পর্যটক উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করলে তাকে শান্তভাবে পর্যটন এলাকায় তার আচরণগত সীমাবদ্ধতা বুঝিয়ে দিচ্ছেন বিনয়ের সাথে। কোন হিজড়া কিংবা ম্যাসাজ বয় দেখলেই নিচ্ছেন কঠোর পদক্ষেপ। সমুদ্র সৈকতে আসা প্রায় প্রতিটি পর্যটকদের সাথে কথা বলে জেনে নিচ্ছেন তাদের কোন অসুবিধা হচ্ছে কিনা কিংবা সমুদ্র সৈকতকে আরো আকর্ষণীয় করার জন্য পর্যটকদের কোন নিজস্ব মতামত আছে কিনা? এছাড়া সমুদ্র সৈকতে আগত নবদম্পতিদের জানাচ্ছেন ফুলেল শুভেচ্ছা।

পর্যটন নগরী কক্সবাজার ও কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের নিরাপত্তা ও অন্যান্য আনুষাঙ্গিক সুবিধা নিশ্চিতকল্প গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কে এডিআইজি আপেল মাহমুদ এক সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, কক্সবাজারে আগত পর্যটকদের নিরাপত্তা ও পর্যটকদের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিতকল্প আমার গৃহীত পদক্ষেপ বর্তমানে বাস্তবিক রূপ লাভ করেছে। কক্সবাজারবাসী ও টুরিস্ট পুলিশের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সমুদ্র সৈকত বর্তমানে হিজড়া, ম্যাসাজ বয়, ফটোগ্রাফার ও বখাটে মুক্ত। আমি ১২০ জন হিজড়া’কে পুনর্বাসন করেছি , যেন তারা সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের বিরক্ত না করেন। হোটেল ও বাস মালিকদের সাথে বৈঠক করে হোটেল ও বাস ভাড়া সহনশীল পর্যায়ে রাখার জন্য কাজ করে যাচ্ছি এবং তাদের বলেছি কোন পর্যটক যেন হয়রানির শিকার হতে না হয় সে ব্যাপারে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে। সমুদ্র সৈকত ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সমাজ বহির্ভূত যেকোনো কার্যকলাপ রোধের জন্য সাদা পোশাকে বিশেষ টীম কাজ করে যাচ্ছে‌। বিশ্বের বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত এর অধিকারী কক্সবাজার’কে সত্যিকারের পর্যটন বান্ধব নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে আমার উপর রাষ্ট্র কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব আমি নিষ্ঠার সাথে পালন করে যাব যে কোন মূল্যেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *