অনলাইন ডেস্ক :
রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে শুরুতে সখ্যতা তৈরি করতেন হেলেনা জাহাঙ্গীর পরে সুযোগ বুঝে তাদেরকে করতেন ব্ল্যাকমেইল। এই ব্ল্যাকমেইল করেই টাকা আদায় করতেন সাম্প্রতিক গ্রেফতার হওয়া ব্যবসায়ী হেলেনা জাহাঙ্গীর।
বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ব্ল্যাকমেইল করে হেলেনা টাকা আদায় করতেন, এ বিষয়ে অনেক তথ্য পেয়েছে র্যাব। এ বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
আল মঈন বলেন, হেলেনা সুনির্দিষ্ট একজন ব্যক্তির জন্য থেমে থাকেননি। প্রতিনিয়ত বিভিন্ন লোকজনের সঙ্গে পরিচয় ঘটেছে তার। উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য যাকেই প্রয়োজন হয়েছে তাকে তিনি ঘায়েল করেছেন। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে ছবি তুলেছেন এবং সেটা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়েছেন শুধুমাত্র উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য। আমাদের মামলার কারণ এটাই। সে রাষ্ট্রের ব্যক্তিদের সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য করেছে যা তাদের বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেছে, জনগণের মধ্যেও বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন- হেলেনা জাহাঙ্গীর আমাদেরকে জানিয়েছেন, তার ১৫ থেকে ১৬টি ফ্ল্যাট রয়েছে। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি ফাউন্ডেশনের সঙ্গে তিনি জড়িত। বিভিন্ন সময় চাঁদাবাজি কিংবা ব্ল্যাকমেইল করে আদায় করা টাকাগুলো তিনি ফাউন্ডেশনে কাজে লাগাতেন। সুনামগঞ্জে তিনি ত্রাণ বিতরণ করায় স্থানীয়রা তাকে পল্লী মাতা উপাধি দিয়েছেন। ফাউন্ডেশনের নামে প্রবাসীদের কাছ থেকে অনেক টাকা এনেছেন। এগুলো কী কাজে ব্যবহার করা হয়েছে সে বিষয়ে কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি হেলেনা জাহাঙ্গীর।