অনলাইন ডেস্ক :
‘মুক্ত চিন্তার দুরন্ত প্রকাশ’ স্লোগানকে হৃদয়ে ধারণ করে শীঘ্রই প্রকাশিত হতে যাচ্ছে বাংলা দৈনিক ‘রুপালী বাংলাদেশ’। আনুষ্ঠানিক প্রকাশের আগে উন্মোচন করা হলো এর লোগো।
অনাড়ম্বর আয়োজনের মধ্য দিয়ে রবিবার সন্ধ্যায় রাজধানির বনানীতে হোটেল শেরাটনের বলরুম এ কেক কেটে লোগো উন্মোচন করা হয় ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রুপালী বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক করিম আহমদ ও সম্পাদক-প্রকাশক সায়েম ফারুকী ।
সায়েম ফারুকী বলেন, প্রায় ২যুগ প্রিন্ট মিডিয়ায় সাংবাদিকতা করেছি । নানা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতার আলোকে সংবাদমাধ্যম রুপালী বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছি। পত্রিকাটির চেয়ারম্যান ও ভাইয়া গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মারুফ সাত্তার আলী রাসেল বলেন, কয়েকজন সুহৃদের সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছি রুপালী বাংলাদেশ। এ প্রতিষ্ঠানে কোনো অন্যায় চাপ কিংবা বাধা থাকবে না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হৃদয়ে ধারণ করে আমরা সততা ও সু-সাংবাদিকতার উদাহরণ সৃষ্টি করব।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) এর মুখপাত্র ও আইন গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, আমার বিশ্বাস, রুপালী বাংলাদেশ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে অনন্য নজির স্থাপন করবে। বিভিন্ন কারণে গণমাধ্যম মোকাবিলা করছে নানা ঝুঁকি। ঝুঁকি থাকবেই। একাত্তরে আমাদের ঝুঁকি ছিল। আমরা ঝুঁকি মোকাবিলা করেই সফল হয়েছি, স্বাধীনতা অর্জন করেছি। ঝুঁকি ছাড়া সফলতা অর্জন করা সম্ভব নয়। আমি বিশ্বাস করি রুপালী বাংলাদেশ সফলতা পাবে।
বিবিসি বাংলা সার্ভিসের সাবেক বাংলাদেশ প্রধান শাকিল বিন মোস্তাক বলেন, কঠিন সময় পার করছে আমাদের গণমাধ্যম জগত। কিন্তু এই কঠিন সময়েও আসছে নতুন নতুন পত্রিকা। এটি প্রশংসনীয় দিক। আমি বিশ্বাস করি, সততা ও সুসাংবাদিকতার ক্ষেত্রে বড় প্লাটফর্ম হবে রুপালী বাংলাদেশ।
অনলাইন পোর্টাল প্রতিদিনের খবরের প্রকাশক যোবায়ের ইসলাম শাওন বলেন, ব্যক্তিগতভাবে সায়েম ফারুকী লড়াকু মানুষ। লড়াই করেই তিনি এত দূর এসেছেন, নানা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। রুপালী বাংলাদেশ তার স্বপ্নের গণমাধ্যম। অনেকদিন ধরে তিনি পরিকল্পনা করছেন। নীরবে কাজ করছেন। তার স্বপ্ন ও অধ্যবসায় সফল হবেই। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, ডিজিএফআই এর পরিচালক (মিডিয়া উইং) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল হাসনাত মো: কামরুজ্জামান, ডিজিএফআই’র সিনিয়র এডিশনাল ডিরেক্টর (মিডিয়া উইং) ওবায়েদ রহমান, একুশে পদকপ্রাপ্ত লেখক-কবি নাসির আহমেদ। টুরিস্ট পুলিশের এডিশনাল ডিআইজি মনিরুজ্জামান টুকু, এসবির এডিশনাল ডিআইজি আশিকুল হক ভুইয়া (ইমিগ্রেশন ল্যান্ড এ্যান্ড সি), সিআইডির এডিশনাল ডিআইজি মো: রেজাউল মাসুদ (সাইবার এ্যান্ড ক্রাইম মনিটরিং সেল), হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি শ্যামল কুমার মুখার্জি, টুরিস্ট পুলিশের এডিশনাল এসপি নাদিয়া ফারজানা, পদ্মা ব্যাংক লিমিটেডের উপদেষ্টা মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।