মেহেরপুরের গাংনীতে কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে আহত-৩

মেহেরপুরের গাংনীতে কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে আহত-৩

কামরুল ইসলাম (মেহেরপুর প্রতিনিধি) :

মেহেরপুরের গাংনীতে কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে ৩জন মারাত্মক আহত ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার(২৪মার্চ) উপজেলার গোপালনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এঘটনা ঘটে।আহতরা হলো গাংনী উপজেলার গোপালগর গ্রামের চাতরপাড়া এলাকার আলতাব হোসেনের ছেলে রনি (১৪), লালন হোসেনের ছেলে রাব্বী হোসেন (১৫) ও মহাসিন আলীর ছেলে হামীম (১৪)।আহতরা সকলেই স্থানীয় লুৎফুন্নেচ্ছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেনীর ছাত্র।

স্থানীরা জানান, সাম্প্রতিক সময়ে চুরি করা ডাব নিয়ে গোপালনগর গ্রামের আরজান আলীর ছেলে হাবীব(১৮) ও জনি হোসেনের ছেলে নাঈম হোসেন(১৬)এর সাথে আহত রাব্বী ও রনি’র তাদের স্কুলে বাকবিতন্ডা হয়।

এঘটনার জের ধরে হাবীব ও নাঈম ধারালো ছুরি(ড্যাগার) নিয়ে এসে তাদের উপর এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে। এক পর্যায়ে হামীম তাদের ঠেকাতে আসলে তাকেও ধারালো ছুরি(ড্যাগার) দিয়ে আঘাত করে। তাদের চিৎকারে এলাকাবাসি ছুটে আসলে আহতদের ফেলে রেখে পালিয়ে যায় হাবীব ও নাঈম।পরে স্থানীয়রা তাদের মূমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসেন।

স্থানীয়রা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান আহতরা এবং হামলাকারীরা উভয়েই কিশোর গ্যাং এর সদস্য।তারা একদিনে গজিয়ে ওঠেনি। তারা প্রায়ই ছোট খাটো ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে। তবে এদের এখনি প্রতিরোধ গড়ে তোলা উচিৎ।

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার এমকে রেজা জানান,রাব্বী’র ডান হাতে ও হামীমের ডান পায়ের উপরের অংশে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মারাত্বক জখম হয়েছে। অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণে তাদের অবস্থা এখন আশংকাজনক। তাই উন্নত চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, খাওয়ার মত একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র এধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে কিশোররা।খবর পেয়ে সাথে সাথে পুলিশের ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। ঘটনার সাথে জড়িত ওই কিশোররা পালিয়ে গেছে। তাদের গ্রেফতার করতে অভিযান চালানো হচ্ছে।

উল্লেখ্যঃ গত ১২-০৪-২১ সালে মেসেঞ্জারে কথোপকথন কে কেন্দ্র করে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বানিয়াপুকুর গ্রামের আব্বাস হার্ডওয়ার এর স্বত্বাধিকারী আব্বাস আলীর ছেলে বিদ্যুৎ(২৯)কে গোপালনগর গ্রামের চারচারা বাজার হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *