মানসিক চাপ এক ঘণ্টায় কমানোর কৌশল বলে দিলেন গবেষকরা

মানসিক চাপ এক ঘণ্টায় কমানোর কৌশল বলে দিলেন গবেষকরা

অনলাইন ডেস্ক :

গবেষকরা শহুরে ও গ্রামাঞ্চলের মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য খুঁজে পেয়েছেন। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, শহুরে এলাকায় বসবাসরত মানুষেরা মানসিক অসুস্থতায় ভোগেন বেশি। ২০১২ সালের একটি মেটা-বিশ্লেষণে দেখা গেছে, শহুরে নাগরিকদের মধ্যে সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি।

মাত্র এক ঘণ্টা বনের মধ্যে হাঁটার ফলে মস্তিষ্কের অ্যামিগডালা (মস্তিষ্কের যে অংশ ভয় ও দুশ্চিন্তার মতো আবেগগুলো নিয়ন্ত্রণ করে) অংশের ক্রিয়া কমে যাওয়ার ফল পাওয়া গেছে এক গবেষণায়। অন্যদিকে, শহুরে রাস্তায় হাঁটার সময় মস্তিষ্কের ঐ অংশটি সক্রিয় থাকে, এতে স্পষ্ট যে- শহুরে পরিবেশ মানুষের মধ্যে বাড়তি দুশ্চিন্তার জন্ম দেয়। ২০১১ সালে ন্যাচার জার্নালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, মস্তিষ্কের যে অংশ ভয় ও দুশ্চিন্তার মতো আবেগগুলো নিয়ন্ত্রণ করে (অ্যামিগডালা), শহুরে নাগরিকদের মস্তিষ্কের সেই অংশটি বেশি সক্রিয়ভাবে কাজ করে। কিন্তু এর কারণটা কী? সম্প্রতি জার্মানির ম্যাক্স প্লাংক ইনস্টিটিউট ফর হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট-এ লিসে মিটনার গ্রুপ ফর এনভার্নমেন্টাল নিউরোসায়েন্সের একদল গবেষক তাদের নতুন গবেষণায় প্রকৃতির সাথে মানুষের সংযোগ এবং এর উপকারিতা নিয়ে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেছেন। শহুরে অঞ্চলের মানুষেরা প্রকৃতির সংস্পর্শে কম থাকেন বলেই তাদের মানসিক অসুস্থতা বেশি, নাকি বিভিন্ন স্বভাবের মানুষ বিভিন্ন পরিবেশে বাস করতে আগ্রহী, সেসব বিষয় তারা গবেষণার মাধ্যমে বোঝার চেষ্টা করেছেন।

ম্যাক্স প্লাংক ইনস্টিটিউটের গবেষণার প্রধান লেখক সনজা সুডিম্যাক জানান, এ গবেষণার সূত্রে ধরে গবেষকরা এই সিদ্ধান্তে আসতে পেরেছেন যে প্রকৃতি-বনায়নের মধ্যে সময় কাটালে মানসিক অসুস্থতা থেকে দূরে থাকা যায়। ঠিক তেমনই, যত বেশি শহুরে জীবনে জড়িয়ে পড়বেন, মানসিক স্বাস্থ্যের উপর তত বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

তথ্যসূত্র: মেডিকেল নিউজ টুডে

One thought on “মানসিক চাপ এক ঘণ্টায় কমানোর কৌশল বলে দিলেন গবেষকরা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *