অনলাইন ডেস্ক :
ইউরো চ্যাম্পিয়নশীপে ইতালি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ফলে ব্যালন ডি’অরের দৌড়ে কয়েকজনের নাম শোনা যাচ্ছে। সে কয়েকজনের মাঝে সবচেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছে মিডফিল্ডার জর্জিনহো। চেলসির হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়, এরপর ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে তিনি আলোচনায় আছেন। তার সাথে তালিকায় আছেন সতীর্থ এমারসন পালমেইরিও। তবে সকল ম্যাচে খেলতে না পারায় এমারসনকে কেউই তালিকায় রাখছেন না।
ব্যালন ডি’অরে এর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি প্রযোজ্য হয় বিশ্বকাপ, ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ, কোপা আমেরিকা ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। এর মাঝে ইউরো ও কোপা এ বছর অনুষ্ঠিত হওয়াতে এ দু’টি টুর্নামেন্ট বেশ বড় ভূমিকা রাখবে। এই দুই টুর্নামেন্ট শেষ হওয়ায় এবারের ব্যালন ডি’অর কার হাতে উঠতে যাচ্ছে, এ নিয়ে বিশ্লেষন-পর্যবেক্ষণ শুরু করেছে ইউরোপিয়ান বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম। তবে ইউরোপিয়ান ফুটবলবোদ্ধারা ধারণা করছেন রেকর্ড সংখ্যক ৬ বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী লিওনেল মেসিই পেতে পারেন আরো একটি ট্রফি।
প্রায় ২৮ বছর পর আর্জেন্টিনা ট্রফিখরা কাটিয়ে এ বছর কোপা আমেরিকা জিতে নেওয়ায় লিওনেল মেসিকে এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকছেনা সমালোচকদের। কারণ কোপা’র আসরের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন তিনি এবং গোল্ডেন বুট, গোল্ডেন বল সবগুলোই তার হাতে গিয়েছে। সাথে বহুল আকাঙ্খিত ট্রফিটাও জিতে নিয়েছেন তিনি।
দেশের হয়ে তো বটেই, ক্লাবের হয়েও দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছেন মেসি। গত মৌসুমে লা লিগার হয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতা ও সর্বোচ্চ অ্যাসিস্টদাতা নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। ক্লাবের হয়ে লিগ ট্রফি জিততে ব্যর্থ হলেও, কোপা দেল রে জিতে নিয়েছেন এ ক্ষুদে জাদুকর।
তাই এবারের ব্যালন ডি’অরের জন্য মেসির বিকল্প কাউকে খুঁজে বের করা কঠিনই হবে আয়োজকদের জন্য। তাছাড়া বার্সেলোনার কোচ রোনাল্ড কোম্যানও জানিয়ে দিয়েছেন, এবছর ব্যালন ডি’অরের জন্য মেসিই ফেবারিট এবং তার কাছাকাছি কোন প্রতিদ্বন্দ্বীও আর কেউ নেই।
সুতরাং দেখার পালা বছর শেষে কার হাতে ওঠে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ এই পুরস্কার।