
অনলাইন ডেস্ক :
গবেষণায় দেখা যায়, দুই ডোজ টিকা যারা নিয়েছেন তাদের শ্বাসকষ্ট, হাসপাতালে ভর্তি এবং মৃত্যু ঝুঁকি তুলনামুলকভাবে কমই দেখা যাচ্ছে। দুই ডোজ নেওয়ার পর হাসপাতালে ভর্তির হার সাত শতাংশ। টিকা নেননি এমন রোগীদের হাসপাতালে ভর্তির হার ২৩ শতাংশ।
বাংলাদেশের গবেষকরা বলছেন, করোনা টিকা নেওয়ার পর ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কম। করোনার টিকা আবিষ্কারের পর বেশ ক’টি আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিবেদনেও এমনটা বলা হচ্ছিল। বাংলাদেশ সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান(আইইডিসিআর)-এর এক গবেষণা রিপোর্টে এমনটাই বলা হয়েছে।
গবেষণায় দেখা যায়, দুই ডোজ টিকা যারা নিয়েছেন তাদের শ্বাসকষ্ট, হাসপাতালে ভর্তি এবং মৃত্যু ঝুঁকি তুলনামুলকভাবে কমই দেখা যাচ্ছে। দুই ডোজ নেওয়ার পর হাসপাতালে ভর্তির হার সাত শতাংশ। টিকা নেননি এমন রোগীদের হাসপাতালে ভর্তির হার ২৩ শতাংশ। শুধু তাই নয়, গবেষণায় দেখা যায়- টিকা নেওয়াদের মৃত্যুর হার দশমিক শূন্য তিন শতাংশ। আর যারা টিকা নেননি তাদের মৃত্যুর হার তিন শতাংশ।
১৩৩৪ জন কোভিড রোগী এই সমীক্ষায় অংশ নেন। মে এবং জুন মাসে পরিচালিত গবেষণায় দেখা যায়, ৫৯২ জন কোনো টিকাই নেননি। এক ডোজ নিয়েছেন ৭৪২ জন। টিকা নিয়েও ৫৫ শতাংশ আক্রান্ত হয়েছেন। শ্বাসকষ্ট হয়েছে ১১ শতাংশ অংশগ্রহণকারীর মধ্যে। তাছাড়া দুই ডোজ নিয়েছেন এমন ৩০৬ জন টিকা নেওয়ার অন্তত ১৪ দিন পর আক্রান্ত হয়েছেন।
রোববার পর্যন্ত টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৯১ লাখ আট হাজার ১৫৪ জন। মোট জনসংখ্যার পাঁচ দশমিক ৩৮ শতাংশ মানুষ প্রথম ডোজ নিয়েছেন। দুই ডোজ নিয়েছেন জনসংখ্যার দুই দশমিক ৫৭ শতাংশ। বিবিএসএ’র তথ্য অনুযায়ী, দেশের জনসংখ্যা বর্তমানে ১৬ কোটি ৯১ লাখ ১০ হাজার।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা যারা নিয়েছেন, তাদের মধ্যে ৯৮ শতাংশের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। ২০৯ জন টিকা গ্রহণকারীর মধ্যে পরিচালিত গবেষণায় এই তথ্য পাওয়া গেছে।
বাণিজ্যিক চুক্তির পাশাপাশি যৌথভাবে করোনাভাইরাসের টিকা উৎপাদনে চীনের সিনোফার্মের সঙ্গে চুক্তি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন সোমবার সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান। সিনোফার্মের কাছ থেকে গত এক মাসে ৭০ লাখ ডোজ টিকা পাওয়া গেছে।
ওদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ও সংক্রমণ দুটোই বেড়েছে। এ সময় মারা গেছেন ২৪৬ জন। আর সংক্রমিত হয়েছেন ১৫ হাজার ৯৮৯ জন। আগের দিন মারা যান ২৩১ জন এবং সংক্রমিত হয়েছিলেন ১৪ হাজার ৮৪৪ জন।
সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা।