ফজলুল হক স্মৃতি পুরস্কার পেলেন কাজী হায়াৎ ও মাজহারুল ইসলাম

ফজলুল হক স্মৃতি পুরস্কার পেলেন কাজী হায়াৎ ও মাজহারুল ইসলাম

অনলাইন ডেস্ক :

বাংলাদেশের প্রথম চলচ্চিত্র বিষয়ক পত্রিকা ‘সিনেমা’ এর সম্পাদক ও বাংলাদেশের শিশুতোষ চলচ্চিত্র প্রেসিডেন্ট এর নির্মাতা প্রয়াত ফজলুল হক স্মরণে প্রতি বছর ২৬ অক্টোবর এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। ওইদিন চ্যানেল আই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে তাদেও হাতে পুরস্কার তুলে দেন ইমপ্রস গ্র“প, চ্যানেল আই’র পরিচালক মুকিত মজুমদার বাবু, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও নাট্য নির্দেশক নাসিরউদ্দিন ইউসুফ, সৈয়দ সালাহউদ্দীন জাকী, রন্ধনশিল্পী কেকা ফেরদৌসী, অভিনেতা আল মনসুর। এ সময় ফজলুল হকের জীবন ও কর্ম নিয়ে শহিদুল আলম সাচ্চু নির্মিত ‘সম্মুখযাত্রী ফজলুল হক’ প্রমাণ্যচিত্রটি প্রদর্শিত হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ফজলুল হকের স্নেহধন্য অনেকে।
পুরস্কারপ্রাপ্তির পর কাজী হায়াৎ ও মাজহারুল ইসলাম কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ফজলুল হক স্মৃতি কমিটির প্রতি। তারা বলেন, এমন গুণী মানুষের নামাঙ্কিত পদকটি পেয়ে অভিভূত। পুরস্কারের অর্থমূল্য ছিল প্রতিটি ২৫ হাজার টাকা, সম্মাননা পত্র ও ক্রেস্ট। প্রয়াত ফজলুল হক স্মরণে ২০০৪ সাল থেকে এই পুরস্কার প্রবর্তন করেন বিশিষ্ট কথাশিল্পী রাবেয়া খাতুন।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন চলচ্চিত্রের এই গুণী মানুষটিকে শ্রদ্ধা জানাতে তাদের একটি মূল মিলনায়তনের নামকরণ করেছে ‘ফজলুল হক স্মৃতি মিলনায়তন’। চলচ্চিত্র ও গণমাধ্যমে কাজ করতে আগ্রহীদের জন্য সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকীর প্রত্যক্ষ তত্ত¡াবধানে গড়ে তোলা হয়েছে ‘ফজলুল হক ইন্সটিটিউট অব মিডিয়া স্টাডিজ’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান।
কথাশিল্পী রাবেয়া খাতুন তার সহধর্মিণী। জ্যেষ্ঠপুত্র ফরিদুর রেজা সাগর শিশু সাহিত্যিক ও টিভি ব্যক্তিত্ব এবং ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লি. ও চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। ছোট ছেলে ফরহাদুর রেজা প্রবাল বাংলাদেশ টেলিভিশনের এক সময়ের জনপ্রিয় উপস্থাপক ও বর্তমানে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী স্থপতি। বড় মেয়ে কেকা ফেরদৌসী বিশিষ্ট রন্ধনবিদ ও ছোট মেয়ে ফারহানা মাহমুদ কাকলী গৃহিনী।

ইতিমধ্যে ‘ফজলুল হক স্মৃতি পুরস্কার’ পেয়েছেন- সাইদুল আনাম টুটুল এবং ফজল শাহাবুদ্দিন (২০০৪), চাষী নজরুল ইসলাম ও আহমদ জামান চৌধুরী (২০০৫), হুমায়ূন আহমেদ ও রফিকুজ্জামান (২০০৬), সুভাষ দত্ত ও হীরেন দে (২০০৭), গোলাম রাব্বানী বিপ¬ব ও আবদুর রহমান (২০০৮), আমজাদ হোসেন ও সৈয়দ শামসুল হক (২০০৯), মোরশেদুল ইসলাম ও চিন্ময় মুৎসুদ্দী (২০১০), ই আর খান ও অনুপম হায়াৎ (২০১১), নাসিরউদ্দিন ইউসুফ ও গোলাম সারোয়ার (২০১২), রাজ্জাক ও রেজানুর রহমান (২০১৩), সৈয়দ সালাহউদ্দিন জাকী ও আরেফিন বাদল (২০১৪), মাসুদ পারভেজ ও শহীদুল হক খান (২০১৫), আজিজুর রহমান ও মোস্তফা জব্বার (২০১৬), আবদুল লতিফ বাচ্চু ও নরেশ ভুঁইয়া (২০১৭), মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও শফিউজ্জামান খান লোদী (২০১৮), কোহিনূর আখতার সুচন্দা ও রাফি হোসেন (২০১৯) এবং আলমগীর ও দীপেন(২০২০)।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *