অনলাইন ডেস্ক :
বরগুনার পাথরঘাটায় বৈরী আবহাওয়ায় দুই ট্রলার ডুবিসহ এক জেলে নিখোঁজের খরব পাওয়া গেছে। জানা গেছে পাথরঘাটা উপজেলার চরদুয়ানি ইউনিয়নের মো. আউয়ালের মালিকানাধিন ও একই এলাকার সহিদ শরীফের মালিকানাধিন মাছধরা ট্রলারসহ দুটি মাছধরা ট্রলার ১১ সেপ্টেম্বর বলেশ্বর নদের পক্ষীদিয়া নামক স্থানে ডুবে গেলে ট্রলার দুটিতে থাকা ১২ জেলের মধ্যে ১১ জেলে বাড়ি ফিরে আসতে পারলেও চরদ্য়ুানি ইউনিয়নের তাফালবাড়িয়া গ্রামের মোঃ সহিদ শরীফের ছেলে মোঃ মোশারেফ শরীফ (৩২) বলেশ্বর নদে পড়ে নিখোঁজ হয়েছে বলে নিখোঁজ জেলে পরিবার সুত্রে জানা গেছে। মোশারফের স্ত্রী হাসি বেগম বলেন, এখন পর্যন্ত আমার স্বামীর কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। আমরা আত্মীয় স্বজন এবং ট্রলার মালিক সমিতির কাছে জানিয়েছি। এছাড়া ৮ সেপ্টেম্বর আবহাওয়া অফিস থেকে তিন নম্বর সংকেত জারি করলে জেলেরা সতর্ক থাকায় এবং পাথরঘাটা কোস্টগার্ড নদি ও সাগরে মাইকিং করে জেলেদের নিরাপদে আশ্রয় গ্রহন করাসহ নতুনকরে জেলেদের সাগরে যেতে নিষেধ করায় সাগরে মাছ শিকারে যাওয়া সহস্ত্রাধিক ট্রলার নিরাপদে আসতে সক্ষম হয়েছে বলে জানিয়েছেন বরগুনা জেলা মৎস্যজীবি ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী ও কোস্টগার্ডের পাথরঘাটা স্টেশন কমান্ডার লেঃ মমিনুল ইসলাম। নিখোঁজ হওয়া জেলেকে উদ্ধারের ব্যাপারে জানতে চাইলে কোস্টগার্ডের পাথরঘাটা স্টেশন কমান্ডার লেঃ মমিনুল ইসলাম বলেন জেলে নিখোঁজের বিষয়টি আমরা কেবলমাত্র জানতে পারছি। বিষয়টি জানার সাথে সাথে ওই স্খান মোংলা পশ্চিম জোনের আওতায় হওয়া মোংলা জোনসহ কচিখালি স্টেশনকে অবহিত করেছি। তিন বলেন নিখোঁজ জেলেকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। এদিকে সাগরে গিয়ে বৈরী আবহাওয়ার কারনে মাছ শিকার করতে না পারায় চরম হতাশায় উপক‚লের জেলেরা। পাথরঘাটা উপজেলার চরদুয়ানি ইউনিয়েনের এফবি এলাহী ভরসা ট্রলারের মাঝি ও একই এলাকার এফবি মা-বাবার দোয়া ট্রলারের মাঝি মো. ফিরোজ বলেন ১৮ ও ১৯ আগস্ট বৈরী আবহাওয়ার কারনে মাছ শিকার ছাড়াই খালি হাতে কোন রকম জীবন নিয়ে বাড়িতে এসে ধারদেনা করে তেল মবিলসহ ২ লক্ষাধিক টাকার বাজার করে ৩ সেপ্টেম্বর সাগরে গিয়ে আবারো খালি হাতে ফিরতে হয়েছে। তারা বলেন বর্তমান বছর ইলিশের আকাল থাকায় একের পর এক ঋণী হয়ে চরম সমস্যায় আমরা জেলে পরিবার। এদিকে তিন দিনের টানা বৃষ্টির কারনে তলিয়ে গেছে পাথরঘাটার নিম্নাঞ্চল। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে উপজেলার যেসকল বাড়ি একটু নিচু ওই সকল বাড়ির ওঠান ও পাকেরঘর পানিতে তলিয়ে যাওয়া রান্না করতে পারছেনা পরিবারগুলো। এতে পাথরঘাটা নি¤œাঞ্চলের বহু পরিবার অনেক কষ্টে জীবন যাপন করছেন।