![](https://www.bartakal.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
অনলাইন ডেস্ক :
তিতাসের বুকভরা ঢেউ আর প্রাণভরা উউচ্ছ্বাসে আনন্দমুখর পরিবেশে রোববার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হয়। তিতাস নদীর পৌর এলাকার শিমরাইলকান্দি গাঁওগ্রাম পয়েন্ট থেকে প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে পৌর এলাকার মেড্ডা সরকারি শিশু পরিবার পর্যন্ত (প্রায় দেড় কিলোমিটার) নদীতে প্রতিযোগিতা শেষ হয়। প্রতিযোগিতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জ জেলার ১৩টি নৌকা অংশ নেয়। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জ জেলার ছয়টি এবং কিশোরগঞ্জ জেলার একটি নৌকা ছিলো। দুপুর ৩টায় পৌর এলাকার শিমরাইলকান্দি গাঁওগ্রাম পয়েন্টে প্রধান অতিথি হিসেবে নৌকা বাইচ উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। প্রতিযোগিতায় সদর উপজেলার আবদুল আলীর নৌকা প্রথম এবং একই উপজেলার জাকির হোসেনের নৌকা দ্বিতীয় ও আশুগঞ্জ উপজেলার মো. সেলিম মিয়ার নৌকা তৃতীয় স্থান অধিকার করে। তবে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হওয়া তিনটি নৌকাই হবিগঞ্জ জেলা থেকে ভাড়া করা। বিকেলে মেড্ডা সরকারি শিশু পরিবার পয়েন্টে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলমের সভাপতিত্বে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান ও পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির। অনুষ্ঠানে জেলার বিভিন্ন দপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তার, রাজনীতিবিদসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, যতদিন এই তিতাসে জল থাকবে ততদিন তিতাসে নৌকা বাইচের আয়োজন হবে। তিনি ধর্মান্ধতাকে পেছনে ফেলে নৌকা বাইচের আয়োজন করায় তিনি সংশ্লিষ্ট সকলক ধন্যবাদ জানান। প্রতিযোগিতায় প্রথম হওয়া নৌকাকে ১ লাখ টাকা, দ্বিতীয় হওয়া নৌকাকে ৬০ হাজার ও তৃতীয় হওয়া নৌকাকে ৩০ হাজার টাকা দেয়া হয়। এদিকে নৌকা বাইচ উপলক্ষ্যে দুপুরের পর থেকে শহর ও জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে লোকজন এসে তিতাসের দুইপাড়ে এসে জড়ো হয়। লাখো মানুষের উপস্থিতিতে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয় তিতাস পাড়ে। দারাজ বাংলাদেশ, বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড ও ইউনিভার্সেল মেডিকেল সার্ভিসেস লিমিটেড নৌকা বাইচ আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতা করে।