নিউজ ডেস্ক :
‘২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে তামাক ব্যবহার নির্মূল করার যে ঘোষণা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিয়েছেন তা সম্ভব কল্পে ব্যক্তিগত সচেতনতার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবায়নে সমান ভাবে কাজ করতে হবে ও এগিয়ে আসতে হবে। আর এজন্য প্রয়োজন সর্বক্ষেত্রে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং তার সরকারকে শক্তিশালী করে তোলা’- বলেছেন অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, এমপি (কুমিল্লা-৭) ও সাবেক উপাচার্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।
সম্প্রতি ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, এমপি এ কথা বলেন। ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের সহকারী পরিচালক মোঃ মোখলেছুর রহমানের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের সমন্বয়কারী মোঃ শরিফুল ইসলাম, মিডিয়া ম্যানেজার রেজাউর রহমান রিজভী, প্রোগ্রাম অফিসার শারমিন আক্তার রিনি ও অদূত রহমান ইমন। প্রতিনিধি দল এমপি মহোদয়কে তামাক নিয়ন্ত্রণে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করেন।
অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত এসময় ই-সিগারেট প্রসঙ্গে বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হিট-নট-বার্ন বা ই-সিগারেট যে নামেই অবহিত করা হোক না কেন, এ ধরনের পণ্যকে শরীরের জন্য ক্ষতিকর হিসেবে চিহ্নিত করেছে। ২০টি সিগারেটের সমান ক্ষতি করে একটি ই-সিগারেট। ই-সিগারেট ব্যবহারে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক ও ফুসফুসের ক্ষতি হতে পারে। ই-সিগারেটে যে উপাদানগুলো পাওয়া যায়, সেগুলোর মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন সেলের বিকল করাসহ ক্যান্সার সৃষ্টির জন্য দায়ী।
এসময় ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের সহকারী পরিচালক মোঃ মোখলেছুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ সরকার ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল (এফসিটিসি)-র আলোকে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫ প্রণয়ন করে। ২০১৩ সালে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনী আনা হয় এবং এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৫ সালে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়। তবে বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটি এফসিটিসির সাথে অনেকাংশে সামঞ্জস্যপূর্ণ হলেও কিছু জায়গায় দুর্বলতা রয়েছে। জনস্বাস্থ্য, বিশেষ করে কিশোর ও তরুণদের জন্য নতুন হুমকি ই-সিগারেটের মতো এমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্ট নিষিদ্ধ করার বিষয়ে আইনে কিছু বলা নেই।
প্রতিনিধি দল এ সম্পর্কীত প্রয়োজনীয় আইন সংশোধনের জন্য সরকারের কাছে বিনীতভাবে আবেদন জানাবেন বলে মাননীয় সংসদ সদস্যকে অবহিত করেন। সেক্ষেত্রে অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত এমপি ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনকে পূর্বের ন্যায় সবসময় প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন এবং তাদের কার্যক্রমের জন্য সাধুবাদ জানান।