অনলাইন ডেস্ক :
সাতক্ষীরা, খুলনা ও বাগেরহাটের উপকূলে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণসহ উপকূলবাসী জীবনমান উন্নয়নে সকল শ্রেণীপেশার মানুষকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন বিশিষ্টজনেরা। ৪ সেপ্টেম্বর শনিবার বেলা ১১টায় গণমাধ্যমের সঙ্গে বৃহত্তর খুলনা সমিতি, ঢাকার ভার্চুয়াল এক মতবিনিময় সভায় এই আহবান জানানো হয়।
সভায় বৃহত্তর খুলনা তথা উপকূল জনগোষ্ঠীর সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরেন সমিতির সভাপতি ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুলতানা রাজিয়া পান্না।
সভায় উপকূলে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ, যোগাযোগ ব্যবস্থা আধুনিক ও সহজীকরণ, খুলনা-যশোর সড়ক ও ঢাকা-মাওয়া-খুলনা-মোংলা মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীত করা, ভৈরব নদীর তলদেশে জেলখানা ঘাটস্থলে টানেল ও জ্বালানি গ্যাসের ব্যবস্থা করার সুপারিশ করা হয়।
বৃহত্তর খুলনা সমিতি, ঢাকার সভাপতি ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ বলেন, গ্যাসলাইন চালু হলে নতুন নতুন শিল্পকলকারখানা চালু হবে, শিল্পনগরী খুলনা অঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারিত হবে। এজন্য দ্রুত গ্যাস সরবরাহ এবং ভবিষ্যতে খুলনা অঞ্চলে তরল প্রাকৃতিক গ্যাস বা এলএনজি সরবরােহর পরিকল্পনা করা প্রয়োজন।
পাশাপাশি খুলনা-ঢাকা সরাসরি বিরতিহীন ট্রেন সার্ভিস চালু, মোংলা বন্দর থেকে কমপক্ষে ২০ ভাগ কনটেইনারবাহী জাহাজ খালাস এবং মোংলা বন্দরের স্বার্থে সব মাদার ভেসল থেকে দ্রুত পণ্য খালাস করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার গ্রহণেরও আহবান জানান তিনি।
সভায় সরকারের প্রতি অনুরোধ করা হয় যে, বিভাগীয় শিল্প নগরী খুলনার মুজগুন্নীতে র্পযটন করপোরশেনরে বিশাল খালি জায়গায় একটি পাঁচতারা হোটলে নির্মাণ করলে বড় বড় ব্যবসায়ী ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দলগুলো সহজে এখানে আসতে পারবে। এছাড়া অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন, আইটি ভিলেজ স্থাপন, লবণাক্ততা রোধ করা ও মিঠাপানির আধার সৃষ্টি, মৎস্য গবেষনাকেন্দ্র, মৎস্য প্রসেসিং কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা ও মৎস্য ল্যান্ডিং স্টেশন বৃদ্ধি করা জরুরী বলেও জানানো হয়।
উপরন্তু পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর সুন্দরবন এবং প্রত্নতাত্ত্বিক স্পটসমূহকে কেন্দ্র করে পর্যটন শিল্প বিকাশে পদক্ষপে গ্রহণ করলে তাতে খুলনার অর্থনৈতিক গতি বৃদ্ধি পাবে বক্তারা বলেন। সে লক্ষে এখন থেকে মেগা পরিকল্পনা নিয়ে প্রস্তুতি না নিলে উন্নয়নরে দিক থেকে বৃহত্তর খুলনা অনেক পিছিয়ে পড়বে বলেও সভায় জানানো হয়।
সভায় ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকগণ অংশগ্রহণ করেন।