অনলাইন ডেস্ক :
শীতের প্রধান জনপ্রিয় সবজি হলো ফুলকপি। সাধারণত আমরা শীতের মৌসুমে সাদা রঙের ফুলকপি দেখি কিন্তু এবার ‘বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরন প্রকল্প’ থেকে বাহারী রঙের ফুলকপি উৎপাদনের জন্য বিভিন্ন প্রকার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ময়মনসিংহের নেত্রকোণার বারহাট্টা উপজেলার রসুলপুর গ্রামের কৃষক সন্তোষ বিশ্বাস ফলিয়েছেন ভিন্ন রঙের ফুলকপি। যাহা দেশে সারা ফেলে দিয়েছে। সন্তোষ বিশ্বাস জানান, তিনি প্রতি বছর নিজের ২৫ শতক জমিতে ফুলকপি, লাউ, ঢ্যাঁড়স, বেগুন, টম্যাটো, শিম ও শসাসহ বিভিন্ন জাতের শাকসবজি আবাদ করেন। চলতি বছরের জানুয়ারিতে উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা তাকে ‘ফসলের নির্ভরতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্প’ এর আওতায় জামালপুরে অনুষ্ঠিত একটি প্রশিক্ষণে পাঠান। সেখানে গিয়ে ব্যক্তিমালিকানাধীন নার্সারিতে রঙিন ফুলকপির চারা দেখতে পান তিনি। আর তখনই ২২০টি চারা কিনে নিয়ে আসেন। এরপর ¯’ানীয় কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ ও সহযোগিতা নিয়ে আড়াই শতক জমিতে চারাগুলো রোপণ করেন। প্রথমবারের মতো রঙিন ফুলকপি চাষ করে সফলও হয়েছেন কৃষক সন্তোষ বিশ্বাস। তার থেকে বহু কৃষক চারা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। এ ছাড়া এ প্রকল্প থেকেও কৃষকদেরকে চারা দেয়া হচ্ছে। তাই আশা করা যায় এ বছর শীতে ময়মনসিংহ অঞ্চল বাজারেও নানা রঙের ফুল কপি পাওয়া যাবে। মুক্ত বিশ^কোষ তথ্য থেকে জানা গেছে,ফুলকপি ব্রাসিকেসি পরিবারভুক্ত ব্রাসিকা অলেরাসিয়া প্রজাতির সবজিগুলোর একটি। এটি একটি বার্ষিক ফসল যা বীজের মাধ্যমে বংশবিস্তার করে। সাধারণতঃ ফুলকপির পুষ্পাক্ষ বা সাদা, বেগুনি, অংশটুকুই খাওয়া হয় আর সাদা অংশের চারপাশে ঘিরে থাকা ডাঁট এবং পুরু, সবুজ পাতা দিয়ে স্যুপ রান্না করা হয় অথবা ফেলে দেওয়া হয়। ফুলকপি খুবই পুষ্টিকর একটি সবজি; এটি রান্না বা কাঁচা যে কোন প্রকারে খাওয়া যায়, আবার এটি দিয়ে আচারও তৈরি করা যায়। পাতা দিয়ে ঘিরে থাকা সাদা অংশটুকু দেখতে ফুলের মতো বলেই ফুলকপির এমন নামকরণ। এর বৈজ্ঞানিক নাম ব্রাসিকা অলিরাসিয়া যার মধ্যে বাঁধাকপি, ব্রকলি ইত্যাদিও পড়ে, অবশ্য এরা ভিন্ন চাষ গোত্রভুক্ত। ১৮২২ সালে ব্রিটিশরা ভারতে ফুলকপি প্রবর্তন করেছিল।