অনলাইন ডেস্ক :
হাসপাতালের অনুমোদন নিশ্চিতে নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানগুলোর সাইনবোর্ডে নিবন্ধন নম্বর ও মেয়াদ উল্লেখ থাকতে হবে। অনিবন্ধিত হাসপাতালকে ছাড় দেওয়া হবে না। ‘সেবার মান নিশ্চিতে অধিদফতর সর্বদায় সক্রিয়। এলক্ষ্যে চলমান অভিযান ও হাসপাতালে নিবন্ধন নিশ্চিত করাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আমরা নিবন্ধন নিশ্চিতে কাজ করছি। নিবন্ধিত ক্লিনিকগুলোকে নিবন্ধন নম্বর ও মেয়াদসহ সাইনবোর্ড লাগাতে বলা হয়েছে। এতে অনিবন্ধিত হাসপাতাল শনাক্ত করা সহজ হবে। অনিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানকে ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কালোকে কালো, সাদাকে সাদাই বলতে হবে।’ বাংলাদেশ প্রাইভেট ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে রাজধানীর মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে এক আলোচনা সভা ও সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) দিনব্যাপী আলোচনায় দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকদের সাথে নিয়ে সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরে সাংবাদিকদের সাথে নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ প্রাইভেট ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান এর সভাপতিত্বে সাধারণ সভার পর্যবেক্ষক ও আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) প্রফেসর ডাঃ আহমেদুল কবির। সভাপতির বক্তব্যে সংগঠনটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রাইভেট ক্লিনিকগুলো জনগনের সামর্থের ভেতরেই আছে। তাই যদি না হতো তাহলে দেশে ৭০শতাংশ সার্ভিস আমরা বেসরকারিভাবে দিতে পারতাম না। আজকে মানুষেরা অসুস্থ হলে চেষ্টা করে সাধ্যের মধ্যে প্রাইভেট চিকিৎসা নেওয়ার জন্য। আমাদের সার্ভিস খরচ সকলের নাগালের আছে বলেই আমরা আজ এতদূর আসতে পেরেছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের আগামীদিনের চিন্তাভাবনা স্বাস্থ্যবীমা চালু করা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বীমা প্রথা চালু রয়েছে। এতে করে একজন রোগীকে তার পকেট থেকে পয়সা খরচ করতে হয়না। আর আমাদের দেশে কোন রোগী চিকিৎসা নিতে গেলে পকেট থেকে পয়সা খরচ করতে হয়। এই বিড়ম্বনা থেকে মুক্তির জন্য বীমা প্রথা চালু করা জরুরি। এটা আমাদের অনেকদিনের চিন্তাভাবনা। আমরা সাংগঠনিকভাবে এ বিষয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসব।’ ‘আমরা নিবন্ধনের বিষয়ে আপসহীন। যারা নিবন্ধিত তারাই আমাদের সদস্য হতে পারবে। একইসঙ্গে হাসপাতালগুলোর মানের দিকেও নজর দেবো। মান ভালো না থাকলে আমরা সদস্য করবো না। পাশাপাশি সেবার মানের ওপর ভিত্তি করে হাসপাতালগুলোর ক্যাটাগরি করার চেষ্টা করছি।