৫২ প্রজন্মের হাত ধরে এখনো টিকে আছে যে প্রাচীন হোটেল!

৫২ প্রজন্মের হাত ধরে এখনো টিকে আছে যে প্রাচীন হোটেল!

অনলাইন ডেস্ক :

২০১১ সালে প্রায় ১৩১৮ বছর পূর্বে তৈরি হওয়া এ হোটেলটি পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন হোটেল হিসেবে জায়গা করে নেয় গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে। ঐতিহাসিক এ হোটেলে এখনো পর্যটকরা আসে অবসর-বিনোদনে, রোমাঞ্চকর কক্ষে রাত্রিযাপনে। শেষবার যখন হোটেলের সংস্কার কাজ হয়েছিল তখন ১৯৯৭ সাল। সেসময় নতুন রূপে সংযোজন হয় বেশকিছু সুযোগ-সুবিধা। যেমন, হোটেলের গরম পানির ঝর্ণার গোসলখানা, মেডিটেশন কক্ষ, অতিথিদের হাঁটা ও বসার জায়গায় প্রদান করা হয় আধুনিকতার ছোঁয়া। তবে, বেশিরভাগ স্থান এখনো রাখা হয়েছে পূর্বসূরিদের তৈরি করা অভিন্ন আকৃতিতে। ফুজিওরা মাহিতো ছিলেন জাপানের রাজপরিবারের একজন সদস্য। তার হাত ধরেই ৭০৫ সালে হোটেলটি নির্মিত হয়েছিলো। সে সময় এটি ছিলো মনোমুগ্ধকর সরাইখানা। প্রকৃতির মনোরম রূপ-লাবণ্যে মুগ্ধ ভ্রমণপিপাসু পর্যটকদের আনাগোনা বাড়তে থাকলো এ হোটেলে। ধীরে ধীরে জাপানের বিত্তশালী অভিজাত ব্যক্তিবর্গ, এমনকি সম্রাটেরও চরণধূলি পড়তে লাগলো এখানে। এখনো সগৌরবে টিকে আছে নিশিয়ামা ওনসেন কিওনকান হোটেল। কিয়ান যুগে প্রতিষ্ঠিত হওয়া এ হোটেলের একপাশ দিয়ে বয়ে চলা সুন্দরী নদী যেন কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে হোটেলের মোহনীয়তা। অন্যপাশে দণ্ডায়মান আকাশছোঁয়া পাহাড়, ঘন জঙ্গল ও বন্য ঝোপঝাড় বিভিন্ন ঋতুতে পরিবর্তন আনে তাদের মোহনীয় রূপে। বাহারি রঙের বিকিরণে ঝলসে দেয় হোটেলে আগত পর্যটকদের চোখ ও হৃদয়। তখন থেকে এখন অবধি প্রায় ৫২ প্রজন্মের হাতে পরিবর্তিত হয়েছে হোটেলের কার্যভার। এভাবে এখনো চলমান রয়েছে ঐতিহ্যের ধারক এই হোটেলের পরিচালনার কাজ। নবীনদের হাতে হোটেলের দায়িত্বভার আসার পর সংস্কারও হয়েছে বেশ কয়েকবার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *