
অনলাইন ডেস্ক :
বর্ষা মৌসুমে জোয়ারের পানিতে ভরে উঠেছে কিশোরগঞ্জের মিঠামইন ও বালিখলার বিস্তীর্ণ হাওর-বাওর। স্বচ্ছ জলের মনোরম দৃশ্য উপভোগে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিদিন ভিড় জমাচ্ছেন হাজারো পর্যটক। ঈদের ছুটি পেরিয়ে গেলেও এই স্রোত কমেনি, বরং দিন দিন বাড়ছে।
হাওরের পানির স্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় চারপাশে ফুটে উঠেছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের নবরূপ। বর্ষার এই মৌসুমকে ঘিরে জমে উঠেছে নৌভ্রমণ। স্থানীয় মাঝি, দোকানি ও হোটেল-রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীদের ব্যস্ততা বেড়েছে কয়েকগুণ। অনেকের কাছে এই সময়টিই বছরের সবচেয়ে লাভজনক মৌসুম। স্থানীয়দের হিসাবে, বর্ষাকালে প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার মানুষ সরাসরি বা পরোক্ষভাবে পর্যটনকেন্দ্রিক আয়-রোজগারে যুক্ত থাকেন।
২০২০ সালে নির্মিত মিঠামইন-নিকলী বেড়িবাঁধ এখন পর্যটনের কেন্দ্রবিন্দু। বর্ষায় এই বেড়িবাঁধ থেকে হাওরের সৌন্দর্য উপভোগে মানুষের আগ্রহ বেড়েছে বহুগুণ। ছাতিরচর এলাকায় ভাঙন রোধে রোপণ করা করচগাছগুলো এই অঞ্চলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে আরও শোভাময় করেছে।
নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিত করতে স্থানীয় প্রশাসন জিরো পয়েন্ট এলাকায় পোশাকধারী ও সিভিল পুলিশ মোতায়েন করেছে। পাশাপাশি হাওরের পথে দুটি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।
প্রকৃতির প্রতিচ্ছবিতে ভরা হাওরের জলরাশি এখন শুধু একটি জলাভূমি নয়, বরং মানুষের কাছে স্বস্তি, বিনোদন ও সৌন্দর্যের এক নৈসর্গিক ঠিকানা হয়ে উঠেছে।
