
অনলাইন ডেস্ক :
বিগত কয়েক বছরে কিশোরগঞ্জের বন্দর নগরী ভৈরবে ছিনতাইয়ের ঘটনা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। নেটিজেনরা বলছে ভৈরবের কোন স্থানই এখন নিরাপদ নয়। বিশেষ করে ভৈরবের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো ছিনতাইকারীদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। ছিনতাইকারীদের কারা শেল্টার যোগাচ্ছে সে বিষয়েও কোন তথ্য মিলছে না। ফলে ছিনতাইকারীরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। একটা সময় ভৈরবের জনপদে রাতে বা সন্ধ্যায় ছিনতাই হলেও, এখন দিনের ঝকঝকে আলোতে হচ্ছে ভয়াবহ ছিনতাই। এসব ছিনতাইয়ের ঘটনা শুনলে মনে হবে যেন ছিনতাইকারীরা কোন কিছুরই তোয়াক্কা করেনা। তারা দিনে দুপুরে প্রকাশ্যে বুক ফুলিয়ে ছিনতাই করছে আবার ভুক্তভোগীকে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করছে। ভৈরবের এসব ছিনতাইয়ের ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করলে বুঝা যায় ভৈরববাসী কতটা অসহায় ছিনতাইকারীদের হাতে। এছাড়া এসব ছিনতাইয়ের কয়েকটি ঘটনার বিরুদ্ধে ভৈরব প্রশাসন ব্যবস্থা নিলেও কয়েক দিন বিরতি দিয়ে আবার শুরু হয় ভয়াবহ ছিনতাইয়ের ঘটনা। ফলে ভৈরববাসীর আতংক যেন কাটেই না। গত বুধবার ৯ জুলাই ভৈরব নিউটাউন রোডে দিনের আলোতে দুপুর ১২টায় ছিনতাইকারীর কবলে পড়েন এক মহিলা পথযাত্রী। একই দিনে এই রোডেই আরেকটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে এক পুরুষ পথযাত্রীর সঙ্গে। ফলে এসব সংবাদ ফেসবুকে পোস্ট হলে ভৈরবের নেটিজেনরা একেক জন একেক মতামত দেন। ভৈরবের নেটিজেনদের কারও কারও মতে ছিনতাইকারীদের ধরতে পারলে পুলিশে না দিয়ে হাত পা ভেঙ্গে পঙ্গু করে দিলে ছিনতাই অনেকটা কমে আসবে। কারণ হিসেবে তারা ভৈরবের একটি ফেসবুক গ্রুপ পোস্টে মত দিয়েছেন যে, ছিনতাইকারীদের ধরে পুলিশে দিলে তারা কিছুদিন জেল খেটে আইনের ফাঁক ফোকর দিয়ে বেরিয়ে এসে আবার পুনরায় ছিনতাইয়ের কাজে জড়িয়ে পড়ে। ফলে ভৈরবের জনপদ থেকে কিছুতেই বন্ধ হচ্ছেনা ছিনতাইয়ের ভয়াবহতা। আবার অনেক নেটিজেন মত দিয়েছেন ছিনতাইয়ের মূল কারণ মাদক ও শেল্টার দাতা। যদি মাদকমুক্ত করা যায় এবং ছিনতাইকারীদের শেল্টার দাতাকে খুঁজে বের করা যায় তাহলে অনেকটা কমে যেতে পারে ছিনতাইয়ের ঘটনা। এছাড়া ছিনতাইকারীদের ধরে গণধোলাই দিয়ে অঙ্গহানি ঘটালে ছিনতাই অনেকটা কমবে বলে মত দিয়েছেন ভৈরবের কিছু নেটিজেন।
