‘প্রিডেটর: ব্যাডল্যান্ডস’—দুর্বলতার মধ্যেই নিহিত সত্যিকারের শক্তির গল্প

‘প্রিডেটর: ব্যাডল্যান্ডস’—দুর্বলতার মধ্যেই নিহিত সত্যিকারের শক্তির গল্প

অনলাইন ডেস্ক :

বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী নির্ভর জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি ‘প্রিডেটর’-এর যাত্রা শুরু হয় ১৯৮৭ সালে আর্নল্ড শোয়ার্জনেগার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র দিয়ে। মানুষের সঙ্গে মহাজাগতিক ভয়ঙ্কর শিকারি প্রাণীর লড়াইয়ের গল্পে নির্মিত এই সিনেমাটি ব্যাপক সাফল্য পায়। এরপর প্রায় চার দশকে আরও সাতটি চলচ্চিত্র যোগ হয় সিরিজটিতে—‘প্রিডেটর ২’ (১৯৯০), ‘এলিয়েন ভার্সেস প্রিডেটর’ (২০০৪), ‘এভিপি: রিকুইয়েম’ (২০০৭), ‘প্রিডেটরস’ (২০১০), ‘দ্য প্রিডেটর’ (২০১৮), ‘প্রেই’ (২০২২) এবং অ্যানিমেটেড স্পিন-অফ ‘প্রিডেটর: কিলার অব কিলারস’ (২০২৫)। প্রতিটি কিস্তিতেই ভিন্ন ভিন্ন প্রেক্ষাপটে প্রিডেটরদের শিকারি সংস্কৃতি ও মানুষের টিকে থাকার লড়াই নতুনভাবে উপস্থাপিত হয়েছে।

সর্বশেষ সংযোজন ‘প্রিডেটর: ব্যাডল্যান্ডস’, যেটি পরিচালনা করেছেন ড্যান ট্রাখটেনবার্গ। কেন্দ্রীয় চরিত্রে আছেন ইলে ফ্যানিং ও ডিমিট্রিয়াস শুস্টার কোলোমাটাঙ্গি। ৭ নভেম্বর, ছবিটি আন্তর্জাতিকভাবে মুক্তির পাশাপাশি বাংলাদেশের স্টার সিনেপ্লেক্সেও প্রদর্শিত হচ্ছে।

এই কিস্তিতে দেখা যাবে তরুণ প্রিডেটর ডেক-কে, যে নিজের দুর্বলতা ও কোমলতার কারণে গোত্রের কাছে অসম্মানিত। তার নির্মম বাবা তাকে হত্যা করতে চায়, কিন্তু ডেক পালিয়ে যায় এক দূরবর্তী গ্রহে, যেখানে অপেক্ষা করছে ভয়ংকর দানব কালিস্ক—যাকে তার বাবাও ভয় পায়। নিজের সম্মান ও অস্তিত্ব পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে ডেক শপথ নেয় কালিস্ককে হত্যা করার। অভিযানে তার সঙ্গী হয় দুই রোবট-মানব বায়োক্লোন যমজ, যাদের একজন থিয়া, হাসিখুশি ও মানবিক চরিত্রের অধিকারী।

পরিচালক এই চলচ্চিত্রের মাধ্যমে শক্তি, দুর্বলতা ও মানবিকতার সূক্ষ্ম ভারসাম্য নিয়ে এক গভীর বার্তা দিতে চেয়েছেন—যে দুর্বলতাই কখনও কখনও সত্যিকারের শক্তি হয়ে উঠতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *