
অনলাইন ডেস্ক :
‘নতুন এবি ডি ভিলিয়ার্স’ —এই ট্যাগলাইনটা ডেওয়াল্ড ব্রেভিসের জন্য অনেকবার শোনা গেছে। কিন্তু ডারউইনের মারারা ক্রিকেট গ্রাউন্ডে আজ মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) তিনি প্রমাণ করলেন, নিজের গল্প তিনি নিজেই লিখতে জানেন।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে খেললেন টি–টোয়েন্টি ইতিহাসের অন্যতম বিধ্বংসী ইনিংস। মাত্র ৪১ বলে করলেন ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। যা দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে দ্বিতীয় দ্রুততম। আর ৫৬ বলে ১২টি চার ও ৮ ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ১২৫ রানে। যা টি-টোয়েন্টিতে কোনো দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটারের সর্বোচ্চ। তার আগে ফাফ ডু প্লেসিস ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫৬ বলে করেছিলেন সর্বোচ্চ ১১৯ রান।
দক্ষিণ আফ্রিকার দ্রুততম টি–টোয়েন্টি সেঞ্চুরিয়ান: ৩৫ বলে: ডেভিড মিলার, বাংলাদেশের বিপক্ষে (২০১৭), ৪১ বলে: ডেওয়াল্ড ব্রেভিস, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে (২০২৫), ৪৩ বলে: কুইন্টন ডি কক, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে (২০২৩)।
মাত্র ২২ বছর বয়সেই ব্রেভিস ভেঙে দিলেন রিচার্ড লেভির রেকর্ড, যিনি এতদিন ছিলেন দেশের সবচেয়ে কম বয়সী টি–টোয়েন্টি সেঞ্চুরিয়ান।
সবচেয়ে কম বয়সী দক্ষিণ আফ্রিকান সেঞ্চুরিয়ান (টি–টোয়েন্টি): ২২ বছর ১০৫ দিন – ডেওয়াল্ড ব্রেভিস, ২৪ বছর ৩৬ দিন – রিচার্ড লেভি, ২৮ বছর ১৪১ দিন – ডেভিড মিলার।
ম্যাচে ৫ম ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকা যখন ৪৪ রানে ২ উইকেট হারায়, তখন ব্যাট করতে নামেন ব্রেভিস। শুরুটা বেশ সতর্কভাবেই করেন। প্রথম ১২ বলে মাত্র ১৪ রান। কিন্তু এরপর যেন ঝড় বয়ে যায়। পরের ২৯ বলে ৮৭ রান তোলেন, তাতেই গড়ে ফেলেন ইতিহাস।
অবশ্য ৫৬ রানে থাকাকালীন গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের বলে ক্যাচ ছাড়েন অজিরা, আর সেই ভুলের কঠিন মূল্য চুকাতে হয় তাদের। শেষ পর্যন্ত ৫৬ বলে ১২টি চার ও ৮ ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ১২৫ রানে। তার ঝড়ো ও রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরিতে দক্ষিণ আফ্রিকা পায় ৭ উইকেটে ২১৭ রানের বড় সংগ্রহ।
এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ৮টি টি-টোয়েন্টি খেলেছিলেন তিনি। সেখানে তার সর্বোচ্চ রান ছিল ৪১। আজ নবম ম্যাচে এসে খেললেন বিধ্বংসী ইনিংস। জানান দিলেন নিজেকে।
