
অনলাইন ডেস্ক :
মিয়ানমারে বিদ্রোহীদের সঙ্গে সেনার সংঘর্ষ ক্রমেই বাড়ছে। মিয়ানমারের সামরিক-নিয়ন্ত্রিত জান্তা সরকার বলেছে, চীনের উত্তর-পূর্ব সীমান্তের কাছে জাতিগত সংখ্যালঘু সশস্ত্র গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আটকা পড়া ২৫০টিরও বেশি পণ্যবাহী ট্রাকের প্রায় অর্ধেক ড্রোন দ্বারা ধ্বংস করা হয়েছে ।
ক্ষমতাসীন সামরিক পরিষদের মুখপাত্র মেজর জেনারেল জাও মিন তুন রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এমআরটিভিকে ফোন করে এক বিবৃতিতে বলেছেন যে, মিউজ টাউনশিপের একটি বাণিজ্য অঞ্চলের কাছে একটি কম্পাউন্ডে পার্ক করা ট্রাকগুলিতে সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠনের ড্রোন হামলার জেরে আগুন ধরে যায়। মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি, তায়াং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি এবং আরাকান আর্মি-এই তিন সংগঠনকে নিয়ে গঠিত ‘থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স’ ২৭ অক্টোবর উত্তরাঞ্চলীয় শান রাজ্যে একটি সমন্বিত আক্রমণ শুরু করে। তবে শেষদিনের হামলাটি এখনো পর্যন্ত সবথেকে ব্যাপক এবং ধ্বংসাত্মক ছিল বলে জানিয়েছে মিয়ানমারের সেনা। যে ট্রাকগুলির ওপর হামলা চালানো হয়েছে সেই ট্রাকগুলি চীন থেকে পণ্য পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত হয়।
জাও মিন তুন বলেন, কাইন-সান-কিয়াওত সীমান্ত গেটের কাছে দাঁড়ানো ২৫৮টি ট্রাকের মধ্যে প্রায় ১২০ টি আগুনে পুড়ে গেছে, যার জন্য তিনি জোটকে দায়ী করেছেন। প্রায় ছয় ঘণ্টা পর আগুন নেভানো গেলেও হতাহতের কোনো উল্লেখ করেননি তিনি। মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মির মুখপাত্র লে কিয়ার উইন মিত্রবাহিনীকে দায়ী করে হামলা চালানোর কথা অস্বীকার করেছেন। লে কিয়ার উইন বলেছেন ”সত্যি কথা বলতে, এটি এমন একটি কাজ যা মানুষের ক্ষতি করে। আর সেই জায়গাটা আমাদের সামরিক লক্ষ্য নয়। সুতরাং আমাদের আক্রমণ করার কোন কারণ নেই “। জোটটি ব্যাপক বিজয়ের দাবি করেছে, এবং সামরিক সরকার যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরপরই স্বীকার করেছে যে তারা তিনটি শহর হারিয়েছে। জাও মিন তুন বলেন, যুদ্ধের সময় মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ অংশে সেতু ধ্বংস করা হয়েছে এবং প্রধান সড়ক কেটে ফেলা হয়েছে।
