
অনলাইন ডেস্ক :
ইসরাইলি আগ্রাসনের স্বীকার ফিলিস্তিনিদের দুর্দশার চিত্র তুলে ধরে এরইমধ্যে ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের আক্রোশের মুখে পড়েছে আল জাজিরা। এবার ব্যাপক সাইবার হামলার সম্মুখীন হয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটি।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানিয়েছে আল জাজিরা কর্তৃপক্ষ। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গাজায় যুদ্ধের সংবাদ প্রচার করায় আল জাজিরার ওয়েবসাইট এবং সম্প্রচার সক্ষমতাকে পঙ্গু করে দেয়ার লক্ষ্যে ব্যাপকভাবে সাইবার আক্রমণ চালানো হচ্ছে। এর আগে এত তীব্র সাইবার হামলার মুখে পড়েনি সংবাদমাধ্যমটি। আল জাজিরার আইটি দল এসব আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য কাজ করছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে,
হামলার উল্লেখযোগ্য একটি অংশ চালানো হচ্ছে ইসরাইল-হামাস সংঘাতে ‘সক্রিয়ভাবে জড়িত সংস্থাগুলোর’ সঙ্গে সম্পৃক্ত বিভিন্ন আইপি অ্যাড্রেস থেকে। এছাড়া, নির্দিষ্ট আইপি অ্যাড্রেসগুলো তাদের আসল উৎসও লুকানোর কৌশল অবলম্বন করছে।
আল জাজিরা কর্তৃপক্ষ বলছে, চলমান এই সাইবার আক্রমণ ধারাবাহিক এবং বেশ সমন্বিত। এর থেকে স্পষ্ট যে, তারা সংবাদ প্রচারে (আল জাজিরার) ব্যাঘাত ঘটাতেই এই অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এর আগে, গাজায় যুদ্ধ নিয়ে আল জাজিরার সম্প্রচার ‘ইসরাইলবিরোধী উসকানিতে পূর্ণ’ বলে দাবি করে যুক্তরাষ্ট্র। খবর প্রচারে সংবাদমাধ্যমটি যেন ‘নমনীয়’ হয়, কাতারের প্রতি সেই অনুরোধও জানিয়েছে তারা। সম্প্রতি রাজধানী দোহায় কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল-থানির সঙ্গে সাক্ষাতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এই অনুরোধ জানান। এ বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়ে ব্লিঙ্কেন দাবি করেন, গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর ধ্বংসযজ্ঞের যে চিত্র আল জাজিরায় প্রকাশিত হচ্ছে, তাতে মধ্যপ্রাচ্যে এই সংঘাত আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে। এ নিয়ে বাইডেন প্রশাসনের উদ্বেগ রয়েছে।
এদিকে, ইসরাইলে আল জাজিরার ব্যুরো কার্যালয় বন্ধের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে ইসরাইল সরকার। ফলে অস্থায়ীভাবে ইসরাইলে আল জাজিরার প্রধান কার্যালয় বন্ধ থাকবে। গত শুক্রবার (২০ অক্টোবর) টাইমস অব ইসরাইলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরাইল সরকার ‘জরুরি আইন’ অনুমোদন করেছে। এ নিয়মের আওতায় ‘রাষ্ট্রের নিরাপত্তাবিরোধী’ কাজ করছে বলে মনে হলে যেকোনো সংবাদমাধ্যম বন্ধ করে দেয়া যাবে।
