অনলাইন ডেস্ক :
টোকিও অলিম্পিকে মাঠের লড়াইয়ে আলো ছড়াচ্ছেন ক্রীড়াবিদরা। কিন্তু দর্শক না থাকায় মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। দোকানপাটে খাঁ খাঁ। নেই তেমন কোনো ক্রেতা। উপায় না পেয়ে ক্ষতি কাটাতে অনেকেই পাট চুকিয়ে ফেলেছেন নিজেদের দীর্ঘদিনের পুরনো ব্যবসার। হোটেল বা দোকানে শুরু করেছেন অস্থায়ী আইসোলেশন সেন্টার।
চমৎকার উপহার সামগ্রীর দোকানে যখন ক্রেতায় ঠাসা হওয়ার কথা তখন ঠিক ভিন্ন চিত্র। ক্রেতার অভাবে বিক্রেতার মাথায় হাত। অলিম্পিক যখন যে দেশেই হয়েছে, সেদেশই সমৃদ্ধ হয়েছে অর্থনৈতিকভাবে। কিন্তু বিশ্ব ক্রীড়ার ৩২তম আসরটা ব্যবসায়ীদের জন্য শুধুই অন্ধকার।
নানা অনিশ্চয়তা শেষে চলছে ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’। রেকর্ড ভাঙা-গড়ার খেলায় প্রতিদিন যোগ হচ্ছে নতুন নতুন নাম। কিন্তু তাতে মুখে হাসি নেই টোকিওর ব্যবসায়ীদের। কারণ করোনার কারণে দর্শক প্রবেশে নেই অনুমতি। ফলে এবার নেই কোন দর্শক। পর্যটকদের পদচারণায় মুখর থাকলে, ব্যবসা করেও লাভের মুখ দেতে পারতেন তারা। কিন্তু তা না হওয়ায় হতাশ ব্যবসায়ীরা।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা বলেন, দোকানে বাহারি জিনিসপত্র সাজিয়ে রেখেছি। কিন্তু সারাদিন বসে থেকেও কোনো বিক্রি নেই। এমন খারাপ অবস্থা আমি জীবনেও দেখিনি। করোনা শুরুর পর থেকেই ক্ষতির মুখে ছিলাম আমরা। ভেবেছিলাম সেখান থেকে উঠে দাঁড়াতে পারবো। কিন্তু তাও হলো না।
করোনায় ক্ষতি কাটাতে অনেকে আবার হাঁটছেন ভিন্ন পথে। কেউ কেউ তাদের দোকানের পাট চুকিয়ে, সেখানে গড়ে তুলেছেন অস্থায়ী আইসোলেশন ব্যবস্থা। গেমস কাভার করতে আসা কোনো সংবাদমাধ্যমকর্মী বা যে কোনো কাজে আসা জাপানিদের কোয়ারেন্টাইনের জন্য সে ঘরগুলো ভাড়া দেওয়ার কাজ শুরু করেছেন তারা। বিকল্প ব্যবসায় কিছুটা হলেও দেখা মিলেছে লাভের।
শত কষ্টের মাঝেও নিজেদের মাটিতে আয়োজিত অলিম্পিক সফলভাবে শেষ হোক এটাই চাওয়া জাপানি নাগরিকদের।
এবারের আসরে ১৮ ডিসিপ্লিনে ১২৭ ভারতীয় অ্যাথলিট অংশ নিয়েছেন। চলতি আসরে ৫০টি ডিসিপ্লিনে লড়ছেন ২০৬টি দেশের প্রায় সাড়ে ১১ হাজার ক্রীড়াবিদ। ৩৩৯টি স্বর্ণপদকের জন্য লড়ছেন প্রতিযোগীরা। সূত্র : সময় নিউজ টিভি।
অনলাইন প্রিন্ট ভার্সন
Copyright By Dowa Media Group Limited