অনলাইন ডেস্ক :
ঢাকার জন্য নতুন বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ)-এর অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এই ড্যাপের ক্ষেত্রে আবাসিক ভবনের উচ্চতার ক্ষেত্রে কোনো বিধিনিষেধ রাখা হয়নি। এতে করে যেকোনো এলাকার নাগরিক সুবিধা ও সড়কের প্রস্থ অনুযায়ী ভবনের উচ্চতা নির্ধারণ করা যাবে। যদিও এই কারণে ঢাকা শহরের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন নগর বিশেষজ্ঞরা।
কারণ ২০২০ সালে ড্যাপের নতুন যে খসড়া করা হয়েছিল তাতে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের আংশিক এবং সাভার পৌরসভা এলাকায় (১ হাজার ৫২৮ বর্গকিলোমিটার) ভবন নির্মাণে সর্বোচ্চ আটতলা পর্যন্ত উচ্চতার বিধিনিষেধের কথা বলা হয়েছিল। এছাড়া রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় বেড়িবাঁধের পশ্চিমাংশে ঢাকা উদ্যান হাউজিংসহ পুরো অঞ্চল বন্যা প্রবাহ এলাকা হিসেবে দেখানো হয়েছিল। ফলে ওই এলাকায় নির্মাণ করা কয়েক হাজার আবাসিক ভবন কাগজে-কলমে অবৈধ হয়ে যায়। এমন সিদ্ধান্তে নিয়ে আপত্তি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বরাবর আবেদন করে রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)। পরে রিহ্যাব-এর দাবি মেনে নিয়ে নতুন ড্যাপ অনুমোদন দেয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। নতুন এই ড্যাপে মোহাম্মদপুর এলাকায় বেড়িবাঁধের পশ্চিমাংশের পুরো অঞ্চলকে বৈধতা দেয়া হয়। তবে অনুমোদন না থাকায় ওই এলাকার ভবন মালিকদের জরিমানা দিতে হবে। এই বিষয়ে জানতে চাইলে ড্যাপের প্রকল্প পরিচালক আশরাফুল ইসলাম দেশের শীর্ষ এক অনলাইন গণমাধ্যমকে বলেন, শহরের বাসযোগ্যতার কথা বিবেচনা করে নতুন ড্যাপে এলাকাভিত্তিক ফ্লোর এরিয়া রেশিও (এফএআর) ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। আবাসিক ভবনের সর্বোচ্চ উচ্চতা বা তলার বিধানটি রাখা হয়নি। ফলে যেসব এলাকায় প্রশস্ত রাস্তা ও নাগরিক সুবিধা (পার্ক, মাঠ, জলাশয়, পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা) বেশি থাকবে, সেসব এলাকায় বেশি উচ্চতার ভবন নির্মাণ করা যাবে।
অনলাইন প্রিন্ট ভার্সন
Copyright By Dowa Media Group Limited