শেখ জিয়াউর রহমান সুমন : বিনোদন ডেস্ক :
নাটক নিয়ে প্রতারণায় দুই জনকে আটক করেছে পুলিশ। পলাতক রয়েছেন আরো দুই জন৷ জানা যায়, নাট্য-নির্মাতা স্ম্যাক আজাদ এর রচনা ও পরিচালনায় ‘রেস্ট ইন পিস’ নাটকটি টি ডি দীপকের প্যানেলে এডিট করার পর স্ম্যাক আজাদ প্রযোজক শাওন রুদ্রকে বুঝিয়ে দেন। শাওন রুদ্র তার পরিচিতি ছোট ভাই পরিচালক মহিন চৌধুরীর কাছে দিতে বলে। টি ডি দীপক ও শরীফ, মহিন চৌধুরীকে নাটক এর মাস্টার কপি বুঝিয়ে দিলে এর ২/৩ দিন পর মহিন চৌধুরী নাটকটি তার কম্পিউটার মধ্যে থেকে রুদ্রকে না জানিয়ে কপি করে রাখেন। তারপর নাটকটি শাওন রুদ্রকে বুঝিয়ে দেয়। এর মধ্যে মহিন নাটকটি বিক্রি করার জন্য কয়েক জনের সাথে যোগাযোগ করেন।
পরে বয়াতি বাড়ি ইউটিউব চ্যানেল এর রেজওয়ান আহমেদ জিসান এর কাছে মহিন চৌধুরী ও সোহাগ বিশ্বাস ৪০ হাজার টাকা নাটকের সব শর্ত ১৫ হাজার টাকা ক্যাশ, ২৫ হাজার টাকা বাকি রেখে বিক্রি করে দেয়। বিক্রি করার সময় ১০০ টাকার একটা স্ট্যাম্পে এ নাটক এর নাম ভুল এবং রাইটার, পরিচালক, প্রযোজক, আর্টিস্ট এর নাম উল্লেখ না করে সোহাগ বিশ্বাস ডিডে এই নিয়ম ভঙ্গ করে নিজ হাতে ডিড লিখে, নিজে আবার সাক্ষী দেন।
তারপর জিসান ইউটিউব চ্যানেল ও ফেইসবুক পেইজে প্রমো আপলোড দেয়। এই বিষয়টা নাটকের পরিচালক স্ম্যাক আজাদ এর চোখে পরে। স্ম্যাক আজাদ, মহিন ও জিসান এর সাথে যোগাযোগ করে জানতে পারে এই নাটক বিক্রি হয়ে গেছে। তবে স্মাক আজাদ শাওন রুদ্রকে ফোন দিয়ে জানতে পারে নাটক বিক্রি করে নাই। প্রতারণা করছে। মহিন ও জিসানকে বলা হয় ফুল নাটকটি আপলোড না দিতে।
জিসান কোন কথা না শুনে নাটকটি আপলোড দেয় । তাদের মানা করা হলে জিসান ও মহিন আরো ১৫ হাজার টাকা দাবি করে । স্ম্যাক আজাদ ১৫ হাজার টাকা দেয়ার পরও জিসান ও মহিন নাটকটি ডিলেট করে নাই। উল্টো মহিন আরো ২ লক্ষ টাকা দাবি করে । এরপর শাওন রুদ্র, স্মাক আজাদকে নিয়ে ০১/০৬/২০২২ তারিখে ধারা ৪০৬/ ৪২০/ ৩৪ প্যানেল কোড রমনা থানায় মহিন চৌধুরী, রেজওয়ান আহমেদ জিসান, সোহাগ বিশ্বাস ও ফজলে রাব্বি মাহির বিরুদ্ধে একটি মামলা করে।
১০/০৬/২০২২ তারিখে সাব ইন্সপেক্টর সালমান রহমান মহিন চৌধুরী ও রাব্বিকে গ্রেফতার করে। দুইজন এখন রমনা থানায়। বাকি দুইজন পলাতক।
এ প্রসঙ্গে পরিচালক স্ম্যাক আজাদ জানান,
নাটকটি বানাতে আমাদের ৪ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু তারা প্রতারণা করে মাত্র ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে। আমাদের না জানিয়ে এ কাজ করে। এটা প্রতারণা। এটা জানার পরও তাদের সাথে কোন প্রকার ঝামেলা না করে মিমাংসার চেষ্টা করি। কিন্তু তাতে কোন লাভ হয়নি, উল্টো তারা হয়রানি করে। তাই বাধ্য হয়ে রমনা থানায় মামলা করি। অবশেষ ধন্যবাদ রমনা থানার সাব ইন্সপেক্টর সালমান রহমান স্যারসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে।
অনলাইন প্রিন্ট ভার্সন
Copyright By Dowa Media Group Limited