
অনলাইন ডেস্ক :
গাজা উপত্যকায় হামাস-ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতির চূড়ান্ত চুক্তি আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ঘোষণা হতে পারে। তার আগে ইসরায়েলের সাথে হামাসের এই চুক্তিতে কী কী শর্ত উভয়পক্ষ জুড়ে দিয়েছে, সেই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ইসরায়েলি টেলিভিশন চ্যানেল-১২।
ইসরায়েলি এই সংবাদমাধ্যম বলছে, গাজায় হামাস এবং অন্যান্য গোষ্ঠীগুলোর হাতে বন্দী জিম্মিদের মুক্তির জন্য যে চুক্তিটি বাস্তব রূপ পেতে যাচ্ছে, তাতে আগামী কয়েক দিনে অন্তত ৫০ জন ইসরায়েলিকে মুক্তি দেওয়া হবে। ইসরায়েলের সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে চ্যানেল-১২ বলছে, মঙ্গলবার চূড়ান্ত করা চুক্তিতে ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির বিষয়টিকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। আর এই জিম্মিদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। তবে বিদেশি জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে এই মুহূর্তে টেবিলে কোনো আলোচনা নেই।
হামাস এবং গাজার অন্যান্য গোষ্ঠীগুলো গত ৭ অক্টোবর হামলা চালিয়ে ইসরায়েল থেকে ২৪০ জনের বেশি মানুষকে ধরে নিয়ে উপত্যকায় জিম্মি করে রেখেছে। এই জিম্মিদের মধ্যে প্রায় ৪০ শিশু, কয়েকজন বৃদ্ধ এবং কয়েক ডজন থাই ও নেপালি নাগরিক রয়েছেন। চুক্তির বিষয়ে অবগত দুটি সূত্রের বরাত দিয়ে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, শর্ত অনুযায়ী ইসরায়েলের ৫০ থেকে ১০০ বেসামরিক জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। তবে কোনো সামরিক কর্মকর্তাকে মুক্তি দিতে রাজি হয়নি তারা।
চুক্তি অনুযায়ী, কয়েক দিন ধরে জিম্মিদের ধাপে ধাপে মুক্তি দেওয়া হবে। প্রত্যেক দিন ১০ জিম্মির বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগারে বন্দী ৩০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিতে হবে। একই সূত্র বলেছে, চুক্তিতে চার থেকে পাঁচ দিনের জন্য স্থলভাগে ‘‘সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতি’’ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। চ্যানেল-১২ বলেছে, বহুল প্রত্যাশিত চুক্তিতে ইসরায়েলে প্রায় ১৫০ থেকে ৩০০ ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তির শর্ত রয়েছে। আর মুক্তিপ্রাপ্ত ফিলিস্তিনি বন্দীদের মধ্যে নারী ও শিশুরা থাকবে।