মুক্তি পেলেন গাজার আল শিফা হাসপাতালের পরিচালক

মুক্তি পেলেন গাজার আল শিফা হাসপাতালের পরিচালক

অনলাইন ডেস্ক :

ইসরায়েলি সেনাদের হাতে আটক হওয়ার ৭ মাস পর মুক্তি পেয়েছেন গাজার বৃহত্তম হাসপাতাল আল শিফার পরিচালক মোহাম্মদ আবু সালমিয়া। আজ ১ জুলাই সোমবার তাকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী ইতামার বেন গিভির এএফপিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গাজার খান ইউনিস শহরের আল নাসার হাসপাতালের পরিচালক নাহেদ আবু তিমা মার্কিন বার্তাসংস্থা এপিকে এ প্রসঙ্গে বলেছেন, সোমবার মোট ৫৫ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল। এই মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে আল শিফা হাসপাতালের পরিচালকও রয়েছেন।

মুক্তির পর এই ৫৫ জনের মধ্যে ৫ জনকে আল নাসার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি ৫০ জনকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে গাজার দেইর এল বালাহ শহরের আল আকসা হাসাপাতালে। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসের অতর্কিত হামলার জবাবে ওই দিন থেকেই গাজায় সেনা অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। সেই অভিযানের অংশ হিসেবে নভেম্বরে উপত্যকার বৃহত্তম হাসপাতাল আল শিফায় অভিযান চালায় ইসরায়েলি সেনারা। সে সময় গ্রেপ্তার হন মোহাম্মদ আবু সালমিয়া। তার বিরুদ্ধে হামাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তুলেছিল ইসরায়েলি বাহিনী। তবে সেই অভিযোগের পক্ষে বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী জমা দিতে পারেনি বলে জানা গেছে।

মুক্তি পাওয়ার পর আবু সালমিয়া জানিয়েছেন, বন্দিত্বের গত ৭ মাসে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে নিয়মিত নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তিনি ও তার সঙ্গে থাকা অন্যান্য বন্দিরা। ‘আমার সঙ্গে গাজার বিভিন্ন হাসপাতালের আরও কয়েক জন ডাক্তার ও নার্স ছিলেন। কারাগারের ভেতর প্রায় প্রতিদিনই আমাদের প্রহারসহ নানা ধরনের নির্যাতন করা হতো’, সাংবাদিকদের বলেছেন সালমিয়া। তিনি জানান, ইসরায়েলি সেনাদের প্রহারে তার একটি আঙুল ভেঙে গেছে, মাথা থেকেও রক্তপাত হয়েছে। কয়েক জন বন্দির অঙ্গছেদন ঘটেছে বলেও উল্লেখ করেছেন আল শিফা হাসপাতালের প্রধান। আবু সালমিয়ার অভিযোগের প্রতিক্রিয়া জানতে ইসরায়েলের কয়েক জন সরকারি কর্মকর্তা এবং যে কারাগারে তিনি বন্দি ছিলেন, তার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল এপি, কিন্তু কেউই মন্তব্য করতে রাজি হননি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *