
অনলাইন ডেস্ক :
কিশোরগঞ্জের ভৈরব দিন দিন হয়ে উঠছে ছিনতাইয়ের স্বর্গরাজ্য। এতে ভৈরবের ঐতিহ্য ও সুনাম ধীরে ধীরে বিলীন হতে চলেছে। ঐতিহ্যবাহী বন্দরনগরী হিসেবে ভৈরবের সুনাম আদিকাল থেকেই। কিন্তু বিগত কয়েক বছরে ভৈরবে অভাবনীয় ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় সেই সুনামে ভাটা পড়েছে। এছাড়া ছিনতাইয়ের ঘটনায় আহত ও নিহতের ঘটনা ঘটেছে বহুবার। এ নিয়ে ভৈরবের পুলিশ প্রশাসন মাঝে মাঝে অভিযান পরিচালনা করলেও থামেনি ভৈরবের ছিনতাইয়ের ঘটনা। কিছু দিন বিরতি দিয়েই আবার শুরু হয় ছিনতাইয়ের ঘটনা।
গেল রাতে আবারও ভৈরবে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। আনুমানিক রাত ২টা ৪৫ মিনিটে ভৈরবের মনামরা ব্রিজের নিচে ছিনতাইয়ের কবলে পড়েন জিল্লুর রহমান নামের ভৈরবের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের এক নেতা। তিনি ভৈরব বাজারের একজন রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী ও ভৈরব চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রির একজন পরিচালক। এছাড়া তিনি ভৈরব পৌর আওয়ামী যুবলীগ শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি। তিনি অনেক বছর ধরে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
জিল্লুর রহমান তিনি তার ফেসবুকের এক পোস্ট লিখেন,
রাত ২:৪৫ মিনিট পড়লাম ছিনতাইকারীর কবলে, মনামরা ব্রিজ তরকারি বাজারের সামনে!
নিয়ে গেল টাকা মোবাইল আইডি কার্ড’সহ হাত ব্যাগ, ফেরিঘাট কয়লা বাজার হতে রেলওয়ে ষ্টেশন পর্যন্ত ছিলনা কোন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ভৈরব থানার পুলিশ!
এই হল ভৈরব আইনের অবনতি!
সাথে সাথেই জানতে পারলাম প্রতিদিনই নাকি এই রোডে ছিনতাই হচ্ছে!
আসলেই দেখার কেউ নেই!
এই পোস্টের পরে ভৈরবের অনেক মানুষ শংকায় পড়েছেন। এই ভাবে দিন দিন ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটলে ভৈরবের প্রতি মুখ ফিরিয়ে নিবেন বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষজন। এতে ভৈরবের ব্যবসা বানিজ্যে নীতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে ধারনা অনেকের।