অনলাইন ডেস্ক :
পররাষ্ট্র দপ্তর শুক্রবার জানায়, যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্টোনি ব্লিঙ্কেন, আগামী সপ্তাহে ভারত সফরে যাবেন, যে সফর হবে বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশ ও এশিয়াতে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ একটি মিত্রদেশে তাঁর প্রথম সফর। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এছাড়াও, জুলাইয়ের ২৬ থেকে ২৯শে জুলাই পর্যন্ত কুয়েত সফর এবং উর্ধতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হবেন।
যুক্তরাষ্ট্র সরকার, চীনের বর্ধিত আগ্রাসী আচরণের মুখে, ভারতকে গুরুত্বপূর্ণ শরিক বলে ভাবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেনর ভারত সফর শেষে, সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ওয়েন্ডি শেরম্যান চীন সফরে যাবেন , যে অঞ্চলে ইতিমধ্যেই সফররত রয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী, লয়েড অস্টিন।
বুধবার, নুতন দিল্লি সফরে ব্লিঙ্কেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী, সুব্রামানিয়াম জয়শঙ্করের সঙ্গে আলোচনায় মিলিত হবেন। তাদের আলোচনার বিষয়গুলির মধ্যে থাকবে মিলিত নিরাপত্তা স্বার্থের ভিত্তিতে ইন্দো প্রশান্তমহাসাগৰীয় সম্পৃক্ততা, মিলিত গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, জলবায়ু সঙ্কট ও করোনা মহামারীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থার মত বিভিন্ন বিষয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন, কোয়াডভুক্ত দেশ, যেমন ভারত, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের দেশগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে ব্যক্তিগত পর্যায়ে আলোচনার বিষয়টি নিয়ে মতবিনিময় করবেন। এই কোয়াডভুক্ত দেশগুলির মৈত্রীকে, চীনের বর্ধিত প্রভাব বিস্তারের বিরুদ্ধে সমকক্ষ বলে ভাবা হচ্ছে। এ বছরের শেষ ভাগে তাদের আলোচনায় চীনের বিশাল ও আগ্রাসী বেল্ট এন্ড রোড প্রকল্পের বিরুদ্ধে একটি আঞ্চলিক সমমানের প্রকল্প উদ্ভাবনের বিষয়টি প্রাধান্য পেতে পারে। সূত্র : রয়টার্স