সম্পাদকীয় :
দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থার প্রেক্ষিতে নিম্ন আয়ের মানুষদের কিছুসংখ্যক পরিবার অভাব অনটনের কারণে জড়িয়ে পড়ছে কিছু অভিনব অপরাধে। যা খালি চোখে দেখা যায় না। বলা যায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে খেয়াল করলে দেখা যাবে ডিভোর্সের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এই ডিভোর্সকেই হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে কিছু অর্থলোভী পরিবারের দুই একজন। আমাদের কাছে এমনই কয়েকটি ঘটনা এসেছে। আমরা সেই ঘটনাগুলোর প্রেক্ষিতে আপনাদেরকে একটি ঘটনার গল্প শোনাবো। আর এই গল্পের সকল চরিত্রের নাম ও পাত্র কাল্পনিক।
তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
অভাবে স্বভাব নষ্ট এই কথাটা আমরা সবাই জানি। (ছদ্মনাম) লামিয়া ছোটবেলা থেকেই দরিদ্রতার মধ্যে বড় হয়েছেন। তাই অর্থের প্রতি তার লোভ অস্বাভাবিক। লামিয়ার অর্থের প্রতি এই প্রচন্ড লোভ মূলত তার মায়ের স্বভাব চরিত্র থেকেই পাওয়া। লামিয়ার মা (ছদ্মনাম) রাহেলা বেগম অর্থের অভাবে পড়ে সে তার স্বামীকে রেখে এক সময় পর পুরুষের সঙ্গে মেলামেশা করতো এমন গুজবও রয়েছে। কারণ রাহেলা বেগম ছিল প্রচন্ড অর্থলোভী। রাহেলার স্বামী (ছদ্মনাম) আনার মিয়া একজন কাঠমিস্ত্রী। আনার মিয়া যা আয় করে তা দিয়ে তিনি তার স্ত্রীকে কখনোই সন্তুষ্ট করতে পারেনি। ফলে তাদের সংসার জীবনের শুরু থেকেই অশান্তি লেগেই থাকতো। কিন্তু আনার ছিল অত্যন্ত ধৈর্য্যশীল ও নরম মনের মানুষ। তাই এত অশান্তির মধ্যেও ধৈর্য্যশীল আনার মিয়া কাঠমিস্ত্রীর কাজ করে যা পান তা দিয়ে তার সংসার চালিয়ে যেতে থাকেন। কিন্তু আনারের স্ত্রী রাহেলার অর্থের প্রতি অতিরিক্ত লোভ থাকায় আনার তার আর্থিক স্বচ্ছলতা আর ফেরাতে পারেনি। কারণ আনারের স্ত্রী রাহেলা ছিল খুব খরচে স্বভাবের ও লোভী প্রকৃতির। আয়ের চেয়ে ব্যয় করে বিভিন্ন সময় প্রচন্ড অর্থকষ্টে পড়ে যায় রাহেলা। এরপর সেই অর্থকষ্ট গুচ্ছাতে বিভিন্ন সমবায় সমিতি থেকে বিভিন্ন সময় সুদের উপর ঋণ এনে আরও বিপাকে পড়ে যায় রাহেলা। ফলে একটা সময় একাধিক সমিতির সাথে বেড়ে যায় তার সুদের উপর অর্থের লেনাদেনা। এতে রাহেলা আরও বেশি অর্থলোভী হয়ে উঠে। জানা যায় পরে রাহেলা এক অভিনব পন্থায় তার অর্থের যোগানদাতা হিসেবে তার প্রথম কন্যা লামিয়াকে ব্যবহার করা শুরু করে। লামিয়ার এই পর্যন্ত তিনটি বিয়ে হয়েছে আর এই তিনটি বিয়েই গড়িয়েছে ডিভোর্সে। প্রতিটি বিয়েতেই কড়া মূল্যে কাবিন ধরা হতো এবং পরে লামিয়া নিজ থেকেই পারিবারিক কলহ তৈরি করে স্বামীদেরকে ‘নারী নির্যাতন মামলার’র ভয় দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করতো। ব্ল্যাকমেইলের এক পর্যায় এসে ডিভোর্সের মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা আদায় করতো লামিয়া ও তার মা। ‘নারী নির্যাতন মামলা’র ভয় দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করার আইডিয়াটা ছিল লামিয়ার মা রাহেলার। আর এসব ব্ল্যাকমেইলের ঘটনায় লামিয়াকে পুরোপুরি সহযোগিতা করতো লামিয়ার মা রাহেলা নিজেই। এই সব কিছু দেখে লামিয়ার বাবা আনারের কিছু করার ছিল না। কারণ আনারকে স্বামী হিসেবে মান্যগণ্যই করতো না রাহেলা। তাই এসব অপকর্মের ঘটনা দেখে চুপ থাকতো আনার। যেজন্য লামিয়াকে তার মা তিন তিনটি ডিভোর্স করায় শুধুমাত্র অর্থের লোভে। কারণ সমিতির দেনা মেটাতে এই ডিভোর্সগুলোকে অর্থযোগানের প্রধান হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে লামিয়ার মা রাহেলা। লামিয়ার তিনজন সাবেক স্বামীই ছিল প্রবাসী। ফলে তাদের কাছ থেকে ‘নারী নির্যাতন মামলা’র ভয় দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে টাকা হাতিয়ে নেওয়া অনেকটায় সহজ ছিল। আর এসব তিক্ত ঘটনায় রাহেলা ও তার মেয়ে লামিয়ার ব্ল্যাকমেইলের শিকার হয়ে ধ্বংস হয়ে যায় তিনটি সুন্দর সংসার।
লামিয়ার ব্ল্যাকমেইলের তিনটি ঘটনার পর আসা যাক তার ছোট ভাই সম্রাটের ব্ল্যাকমেইলের ঘটনা। মা রাহেলা শুধু তার বড় মেয়ে লামিয়াকে দিয়েই মানুষকে ব্ল্যাকমেইল করে টাকা আত্মসাৎ করে খান্ত হয়নি। বরং রাহেলা তার বড় মেয়ে লামিয়া ছাড়াও তার ছোট মেয়ে (ছদ্মনাম) জিনিয়া ও তার ছেলে (ছদ্মনাম) সম্রাট’কে দিয়েও এমন ব্ল্যাকমেইলের কান্ড ঘটিয়েছে এবং ‘নারী নির্যাতন মামলা’র ভয় দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ করেছে ডির্ভোসের নাটক সাজিয়ে।
রাহেলা তার ছেলে সম্রাটকে বিয়ে করান (ছদ্মনাম) আঁখি নামের এক মেয়েকে। আঁখির বাবাও ছিলেন একজন প্রবাসী। মূলত রাহেলা তার সন্তানদের ডিভোর্স ও কাবিনের অর্থ আদায়ের ব্ল্যাকমেইলের ব্যবসার জন্য বেঁচে নিতেন টাকাওয়ালা প্রবাসীদেরকে। তা এখন স্পষ্ট হয়ে উঠছে। যা সম্রাটের ডিভোর্সের ঘটনায় আরও পরিস্কার হয়ে উঠে। সম্রাটের বিয়ের বেলাতেও তার মা রাহেলা ঘটায় এমন ব্ল্যাকমেইলের ঘটনা। সম্রাট যখন আঁখিকে বিয়ে করে তার আগেই সম্রাটের মা রাহেলা জেনেছিল আঁখির বাবা একজন প্রবাসী। তাই সম্রাটের মা তার ছেলেকে দিয়ে প্রতিদিনই আঁখিকে নানা উপায়ে শারীরিক মানসিক নির্যাতন করাতো। এছাড়া রাহেলার অমানবিক নির্যাতনেও আঁখির জীবন হয়ে উঠে দুর্বিষহ। আঁখির প্রবাসী বাবা জানতো না তার মেয়ের জামাই সম্রাট বিয়ের আগে ছিনতাইকারীদের সঙ্গে যুক্ত ছিল। ছিনতাইকারীদের ছিনতাই করা বিভিন্ন জিনিসপত্র কম দরে কিনে এনে পরে বিভিন্ন জনের কাছে একটু বেশি দামে বিক্রি করতো সম্রাট। পরে এসব ঘটনা জেনে আঁখির প্রবাসী বাবা তার মেয়েকে স্বইচ্ছায় ডিভোর্স করিয়ে নিতে বাধ্য হোন। কারণ দিন যত যাচ্ছিলো টাকার লোভে আঁখির উপর রাহেলা ও তার ছেলে সম্রাটের অমানবিক অত্যাচার বেড়েই চলেছিল। তাই রাহেলা ও সম্রাটের হাত থেকে আঁখিকে বাঁচাতে আঁখির বাবা মোটা অংকের যৌতুকের টাকা দিয়ে আঁখিকে ডিভোর্স করিয়ে নেয়। জানা যায়, লোভী রাহেলা ও তার ছেলে সম্রাট ডিভোর্সের সময় আঁখির কাছ থেকে যৌতুকের টাকা আদায় করে এবং বিয়েতে সম্রাটকে যৌতুক হিসেবে দেওয়া মিশুক রিকশাটিও হাতিয়ে নেয়। এইভাবেই রাহেলার ব্ল্যাকমেইলের শিকার হয়ে আরও একটি সংসার ধ্বংস হয়ে যায়। একজন অর্থলোভী অমানুষ রাহেলার লোভের কারণে ধ্বংস হয়ে যায় মোট চারটি সংসার।
এবার আসা যাক অর্থলোভী রাহেলার ছোট মেয়ে (ছদ্মনাম) জিনিয়ার বিয়ের ঘটনায়। জিনিয়ার যখন বিয়ের বয়স হয়নি তখনি রাহেলার নজরে আসে তার প্রতিবেশী প্রবাস ফেরত এক যুবকের দিকে। প্রবাস ফেরত যুবকের নাম (ছদ্মনাম) আকরাম। আকরাম একজন সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান। কিন্তু প্রবাস থেকে ছুটিতে এসে এক অসৎসঙ্গের সাথে মিশে পরিচয় হয় অর্থলোভী রাহেলার ছোট মেয়ে জিনিয়ার সঙ্গে। জিনিয়াও তার মা ও বোনের মতই প্রচন্ড অর্থলোভী ছিল। কারণ ছোটবেলায় তার মা ও বড় বোনের ব্ল্যাকমেইল কর্মকান্ড দেখে সে এসব অপকর্মকে স্বার্থকতা হিসেবেই দেখে এসেছে। সেও চায় তার বোনের মত প্রবাসী কাউকে বিয়ে করে তার কাছ থেকে ব্ল্যাকমেইল করে টাকা হাতিয়ে নিয়ে সমিতিতে সুদের উপর টাকা জমিয়ে আয় করবে এবং বসে বসে খাবে। কারণ তার মা রাহেলা ও তার বড় বোন লামিয়া তাদের ব্ল্যাকমেইলের টাকাগুলো বিভিন্ন সমিতিতে জমিয়ে রেখে মাসে মাসে সুদের উপর টাকা আয় করে আরাম আয়েশে খাচ্ছে। ফলে এসব দেখে জিনিয়ার মনের ভেতরে এক ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত অর্থের লোভ তৈরি হয়। তাই জিনিয়ার মা রাহেলা যখন জিনিয়ার অপ্রাপ্ত বয়সে ওই প্রবাসী যুবক আকরামের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়াতে বলে তখন জিনিয়া এক কথায় রাজি হয়ে যায়৷ জিনিয়া আকরামকে প্রেমের ফাঁদে ফেলতে নানান উপায় বের করে। একটা সময় জিনিয়া আকরামকে তার প্রেমের ফাঁদে ফেলতে সক্ষম হয়। এরপর আকরাম জিনিয়ার প্রতি প্রচন্ড দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে জিনিয়াকে বিয়ে করতে আকরামকে চাপ সৃষ্টি করতে থাকে জিনিয়া। আকরাম তার পরিবারকে এ কথা জানালে আকরামের পরিবার এই বিয়েতে রাজি হয় না। কারণ মেয়ে পরিবারের স্ট্যাটাসের সঙ্গে ছেলের পরিবারের স্ট্যাটাস আকাশ পাতাল ব্যবধান। কিন্তু এদিকে জিনিয়ার মা রাহেলা নাছোড়বান্দা। যেভাবেই হোক তার ছোট মেয়ে জিনিয়াকে এই প্রবাস ফেরত আকরামের কাছে বিয়ে দিতেই হবে। কারণ রাহেলা তার ব্ল্যাকমেইলের নতুন শিকার খোঁজে পেয়েছে। অনেক চাপাচাপি ও ঘটনা রটনার পর আকরামের কাছে নিজের ছোট মেয়ে জিনিয়াকে বিয়ে দিতে সক্ষম হয় রাহেলা। বিয়ের পর ভালই চলছিল জিনিয়া ও আকরামের সংসার। কিন্তু কয়েক মাস যেতেই রাহেলা এবার তার ব্ল্যাকমেইল মিশন সফল করতে প্রস্তুতি নেয়। ফলে প্রতিনিয়ত তার ছোট মেয়ে জিনিয়াকে চাপ দেয় যেন তার স্বামী আকরাম তাকে কাড়ি কাড়ি টাকা এনে দেয়৷ কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস যে অসৎসঙ্গের সাথে মিশে জিনিয়ার পরিচয় হয় তার স্বামী আকরামের। সেই অসৎ সঙ্গের সাথে মিশেই আকরাম ধীরে ধীরে গোল্লায় যেতে শুরু করে। এরপর আকরাম তার স্ত্রী জিনিয়ার টাকার লোভ সামলাতে দ্রুত বড়লোক হওয়ার নেশায় সে জুয়া খেলায় জড়িয়ে পড়ে৷ জুয়া খেলার নেশায় তার বিদেশ যাওয়াও বন্ধ হয়ে যায়। এরপর জুয়া খেলার পাশাপাশি একটি ছোটখাটো ব্যবসা শুরু করেছিল আকরাম। কিন্তু সেই ব্যবসা তার স্ত্রী জিনিয়া ও তার শ্বাশুড়ি রাহেলার মানসিক অত্যাচারে ও ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইলে বেশিদিন টিকিয়ে রাখতে পারেনি৷ কারণ সেই ব্যবসার সব পুঁজি জুয়া খেলায় বিনিয়োগ করতে থাকে আকরাম। এদিকে রাহেলা তার ব্ল্যাকমেইল ডিভোর্স মিশন সম্পন্ন করতে প্রতিনিয়ত তার মেয়ে জিনিয়াকে বিভিন্ন ভাবে কুপরামর্শ ও কুবুদ্ধি দিতে থাকে। ফলে জিনিয়া তার স্বামীকে প্রতিনিয়ত বেশি বেশি টাকার জন্য মানসিক অত্যাচার করা শুরু করে৷ একটা সময় এসে আকরাম তার বউয়ের মানসিক অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে মাদক নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ে এবং প্রতিনিয়ত জুয়া খেলে আর্থিকভাবে দেউলিয়া হয়ে যায়। এরপর সে ঋণের জালে জর্জরিত হয়ে পড়ে। সে দিনে দিনে কর্মহীন হয়ে পড়ে। এরপরই জিনিয়া ও তার মা রাহেলা আরও বেশি উগ্র হয়ে উঠে আকরামের উপর। আকরাম যখন তার স্ত্রী জিনিয়াকে ও তার শ্বাশুড়ি রাহেলাকে মাসিক টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেয় তখন থেকে তারা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠে এবং আকরামের পরিবারের বিভিন্ন লোকজনকে রাহেলা ও জিনিয়া সামাজিক ভাবে হেনস্থা করা শুরু করে। জিনিয়া টাকার লোভে এতটায় হিংস্র হয়ে উঠে যে আকরামের মা-বাবাকে মেরে ফেলার হুমকি পর্যন্ত দেয়। কারণ আকরামের মা বাবাকে মেরে ফেললে উত্তরাধিকার সূত্রে আকরাম তার বাবার সম্পত্তির মালিক হবে। তখন সেই ওয়ারিশ সম্পত্তি আকরামকে দিয়ে বিক্রি করিয়ে জিনিয়া ও তার মা রাহেলা তাদের কাবিননামার টাকা আদায়ের মিশন সফল করবে। এছাড়া আকরামের ভাই-বোনদের নিয়েও তারা বিভিন্ন জনের কাছে মানহানি কটুক্তি করতে থাকে। যেন তারা সবাই মান-সম্মানের ভয়ে স্বইচ্ছায় জিনিয়াকে ডিভোর্স করায় এবং রাহেলা যেন তখন তার ব্ল্যাকমেইলের ফাঁদ পাততে পারে। তাই এখন রাহেলা আকরামকে প্রতিনিয়ত তার ছোট মেয়ে জিনিয়াকে দিয়ে চাপ সৃষ্টি করছে যেন আকরাম স্বইচ্ছায় তার মেয়েকে যেন ডিভোর্স দিয়ে দেয়। যদি আকরাম স্বইচ্ছায় তার মেয়েকে ডিভোর্স না দেয় তাহলে রাহেলা তার পুরাতন অস্ত্র ব্যবহার করবে। অর্থ্যাৎ ‘নারী নির্যাতন মামলা’র ভয় দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করবে। একটা পর্যায় এসে রাহেলা ও তার ছোট মেয়ে জিনিয়া আকরামকে ‘নারী নির্যাতন মামলা’র ভয় দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করা শুরু করে। সম্ভবত তাদের এই ব্ল্যাকমেইল খেলা এইভাবেই চলতে থাকবে। রাহেলা কথায় কথায় বলে তার মেয়ে জিনিয়া এখনও ছোট। সে অন্য জায়গায় তার ছোট মেয়ে জিনিয়াকে আবার বিয়ে দিতে পারবে। তাই আকরামের মত নেশাখোর স্বামী তার মেয়ের দরকার নেই। এই বলে রাহেলা আকরাম ও তার পরিবারের সবাইকে দোষী করে ‘নারী নির্যাতন মামলা’র করার প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। এই ঘটনা থেকেই বুঝা যায় রাহেলার মত অর্থলোভী নারীরা ‘নারী নির্যাতন মামলা’র অপব্যবহার করে কত মানুষের জীবন নষ্ট করছে। এরকম নষ্ট রাহেলার সংখ্যা আমাদের বর্তমান সমাজে বেড়েই চলছে। যারা বিভিন্ন আইনের অপব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে ব্যাপক হয়রানি করছে। দেশের একটি গণমাধ্যমের রিপোর্টে উঠে এসেছে- বর্তমানে নারী নির্যাতন মামলার অধিকাংশই বানোয়াট। আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, অভিযোগ নারী নির্যাতন হলেও অন্য ধরনের বিরোধের কারণেই এসব করা হয়েছে। বিচারকরা মামলাগুলো আপসে নিষ্পত্তির পরামর্শ দিচ্ছেন। তাই এই বিষয়ে প্রশাসনের সজাগ দৃষ্টি ও জনসচেতনতা খুবই জরুরি৷ তাই সন্তানকে বিয়ে করানোর আগে বা সন্তানকে বিয়ের দেওয়ার পূর্বে অবশ্যই সকলের পারিবারিক ইতিহাস জেনে নিয়ে তারপর বিয়ে করানো বা বিয়ে দেওয়া উচিত। তাহলে অনেক ধরনের পারিবারিক সমস্যা মিটে যাবে। আর এতে করে রাহেলার মত অর্থলোভীরা টাকার লোভে কারও সংসার ধ্বংস করার সুযোগ পাবেনা। আমাদের আজকের এই প্রতিবেদনটি মূলত জনসচেতনতার জন্যই প্রকাশ করা হয়েছে। তাই আসুন সচেতন হই এবং সুন্দর জীবন গড়ি।
বিঃদ্রঃ উক্ত প্রতিবেদনটি বিভিন্ন লোকের মুখে শোনা বাস্তব জীবনের গল্প থেকে নেওয়া। এছাড়া এই প্রতিবেদনের গল্পের প্রতিটি চরিত্রের নাম ও পাত্র কাল্পনিক। তবে এই প্রতিবেদনের গল্পের সঙ্গে বাস্তবে কোন চরিত্রের মিল খোঁজার চেষ্টা করলে আমরা দায়ী নই।
লেখক-
কলামিস্ট, ঔপন্যাসিক ও অনলাইন তথ্যগবেষক।