
অনলাইন ডেস্ক :
দেশে প্রক্রিয়াজাত প্যাকেট খাবারের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশে (৬১ শতাংশ) নিরাপদ মাত্রার চেয়ে বেশি লবণ পায়া গেছে বলে এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের রিজলভ টু সেভ লাইভসের সহায়তায় গবেষণাটি করা হয়েছে।
বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ পরিচালিত ‘অ্যাসেসমেন্ট অব সল্ট কনটেন্ট অ্যান্ড লেবেল কমপ্লায়েন্স অব কমনলি কনজিউমড প্রোসেসড প্যাকেজড ফুডস অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি সেমিনারে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি ১০০ গ্রাম খাবারে সর্বোচ্চ ৭৫০ মিলিগ্রাম লবণকে নিরাপদ মাত্রা বিবেচনায় নিয়ে দেখা যায়, বাজারে বহুল প্রচলিত ৬১ শতাংশ বিস্কুট, চিপস, চানাচুর, নুডলস, ইনস্ট্যান্ট স্যুপ, ঝালমুড়ি, আচার, চাটনি প্রভৃতি প্রক্রিয়াজাত প্যাকেট খাদ্যে নিরাপদ মাত্রার চেয়ে বেশি লবণ রয়েছে। আর ৩৪ শতাংশ খাবারে নিরাপদ মাত্রার দ্বিগুণ অর্থাৎ ১ দশমিক ৫ গ্রামের বেশি লবণ পাওয়া গেছে। গবেষণাটিতে বাজারে বহুল প্রচলিত ১০৫টি ব্র্যান্ডের চানাচুর, নুডলস, ইনস্ট্যান্ট স্যুপ, ঝালমুড়ি, লজেন্স, আচার-চাটনি, চিপস, ডালবুট, সস্, বিস্কুট, পাউরুটি, কেক, কোমল পানীয় ও ফ্রুট ড্রিংক্সের নমুনা পরীক্ষা করে এই ফলাফল পাওয়া গেছে। এগুলোয় দ্বিগুণের বেশি লবণ রয়েছে। একইভাবে আচার ও চাটনির ৮৩ শতাংশ, চিপসের ৬৩ শতাংশ এবং ডাল-বুট ভাজার ৬০ শতাংশে দ্বিগুণ লবণ রয়েছে বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।