টিউনিশিয়া থেকে ৪০ অভিবাসনপ্রত্যাশী বহিষ্কার

টিউনিশিয়া থেকে ৪০ অভিবাসনপ্রত্যাশী বহিষ্কার

অনলাইন ডেস্ক :

শিশু এবং অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ সাব-সাহারান আফ্রিকা থেকে আসা ৪০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে আলজেরিয়া সীমান্তের কাছে রেখে এসেছে টিউনিশিয়া কর্তৃপক্ষ৷

এই অভিবাসনপ্রত্যাশীদের দলটিকে উপকূলীয় শহর স্ফ্যাক্স থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল৷ টিউনিশিয়ার সঙ্গে ইটালির প্রধান এক্জিট পয়েন্ট বা প্রস্থান-পথ স্ফ্যাক্স৷ অধিকার গোষ্ঠীগুলোর মতে, দক্ষিণ-পশ্চিম টিউনিশিয়ার আলজেরিয়ার সীমান্তবর্তী গাফসা গভর্নরে এই অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিয়ে গিয়েছিল কর্তৃপক্ষ।

এফটিডিইএস অধিকার গোষ্ঠীর মুখপাত্র রমধনে বেন আমোর বলেন, ‘‘আমরা তিন দিন ধরে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলাম, কিন্তু আজ সকাল থেকে সংযোগ হারিয়ে ফেলেছি। তাদের সঙ্গে জল বা খাবার নেই, তারা একটা বিচ্ছিন্ন এলাকায় রয়েছে।’’

টিউনিশিয়া অনিয়মিত অভিবাসীদের জন্য একটি মূল প্রস্থান পয়েন্ট৷ ইউরোপে নতুন করে জীবন শুরু করতে চেয়ে ভূমধ্যসাগরের বিপজ্জনক পথে অনেকেই অনিয়মিতভাবে সমুদ্র পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করে।

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক আরেকটি এনজিওর মুখপাত্র বলেন, প্রায় ৪০ জনের একটি দলকে আলজেরিয়ার সীমান্তে ‘বহিষ্কার করা হয়েছে’৷ এটা ‘নিশ্চিত’।

‘রিফিউজিস ইন লিবিয়া’ এক্স প্ল্যাটফর্মে একটি ভিডিও পোস্ট করেছিল৷ তবে বার্তাসংস্থা এএফপি তার সত্যতা এখনো যাচাই করতে পারেনি৷ সেখানে দেখা গিয়েছে, আধা-শুষ্ক এলাকায় একদল লোক মাটিতে পড়ে রয়েছেন৷ তাদের কেউ কেউ নিজেকে আশ্রয়প্রার্থী হিসাবে দাবি করেছেন।

পোস্টে বলা হয়েছে, সাব-সাহারান অভিবাসীদের ‘আলজেরিয়া-টিউনিশিয়া সীমান্তের মধ্যে’ মরুভূমি অঞ্চলে নিয়ে আসা হয়েছিল, তাদের ‘তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সহায়তা’ প্রয়োজন।

২০২৩ সালের জুলাইয়ে, টিউনিশিয়া-লিবিয়া সীমান্তে মরুভূমিতে আটকা পড়া অভিবাসীদের সাক্ষাৎকার নিয়েছিল এএফপি৷ সেইসময়েও টিউনিশীয় কর্তৃপক্ষ তাদের বহিষ্কার করেছিল বলে জানা গিয়েছিল। আলজেরিয়ার সীমান্তে একযোগে কয়েকশ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।

অধিকার গোষ্ঠীগুলো এএফপিকে জানিয়েছে, ২০২৩ সালের জুন থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে “অন্তত পাঁচ হাজার ৫০০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে লিবিয়ার দিকে এবং তিন হাজারের বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশীকে আলজেরিয়ার দিকে বহিষ্কার করা হয়েছে৷ লিবিয়ার সীমান্তে অন্তত ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছে৷’’

২০২৩ সালে টিউনিশীয় প্রেসিডেন্ট কাইস সঈদ একটি বক্তৃতায় বলেছিলেন, ‘‘অনিয়মিত অভিবাসীদের দল’’ দেশের জনসংখ্যাগত হুমকি তৈরি করেছে। এরপর থেকে ভূমধ্যসাগর পেরোনোর প্রচেষ্টা এবং টিউনিশিয়া থেকে প্রত্যাবাসন আরো বেড়েছে৷

গত মাসে, এফটিডিইএস বলেছে, টিউনিশিয়ায় সাব-সাহারান অভিবাসী, শরণার্থী এবং আশ্রয়প্রার্থীদের অর্ধেকেরও বেশি ‘অনুপযুক্ত পরিস্থিতিতে’ বসবাস করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *